|
বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরী জমে উঠেছে জাতীয় পতাকার বেঁচা-কেনা
বরিশাল নগরী জুড়ে বিজয়ের পতাকা বিক্রির ধূম
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল নগরী জুড়ে ফেরি করে বিজয়ের পতাকা বিক্রির যেন ধূম লেগেছে। বাঙালীর আবেগের মাস এই ডিসেম্বর মাস। বিজয়ের এই মাসে বিশেষ করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরী জমে উঠেছে জাতীয় পতাকার বেঁচা-কেনা। বাড়ির ছাদ, গণপরিবহন, রিকশা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত গাড়ি, অফিসের ডেস্ক, মটরসাইকেলে, দোকানপাটেও উড়ছে বিজয়ের নিশান। মার্চ আর ডিসেম্বর মাস এলেই বিজয়ের পতাকার লোগো সংম্বলিত নানা অনুষঙ্গের ব্যবসা শুরু হয়। রাস্তায় রাস্তায় এমনকি পাড়া মহল্লায় ফেরি করে বিক্রি চলছে নানা আকারের পতাকা এবং এর লোগো সংম্বলিত মাথা ও হাতে বাঁধার নানা রকমের সু-সজ্জিত ব্যান্ড। পতাকার মধ্যে বর্তমান লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাল-সবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকাও। নগরের নবগ্রাম রোডের জনৈক এক ফেরিওয়ালা সত্তারের জানান, তার বাড়ি শরিয়তপুর। তিনি বরিশালে বছরের নানা সময় বিভিন্ন জিনিস ফেরি করেই সংসার চালান তার। ফেরি করছেন এই বিজয়ের পতাকা। বেঁচা-কেনাও খারাপ নয়। দিন শেষে কখনও ৫’শ আবার কখনও ১ হাজার টাকা করেও তার আয় হয়। বাঁশের মাথায় নানা আকারের পতাকা টাঙ্গিয়ে বরিশাল নগরের এলাকায় ফেরি করছেন অপর আরেক ব্যাবসায়ী, মাথায় পতাকা শোভিত ব্যান্ড। তিনি বলেন, একদম ছোট আকারের মিনি পতাকার দাম ২০ টাকা। আকার ভেদে এক-দেড়’শ টাকার পর্যন্ত পতাকাও রয়েছে তার কাছে। মানুষজন অফিস, বাসাবাড়ির ছাদে ওড়ানোর জন্য বড় পতাকা কেনে। বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার হ্যান্ডেলে বাঁধার জন্য কেনে মিনি পতাকা। বিজয় দিবস সামনে এলে বিক্রি বাট্টা তার দ্বীগুণ বেড়ে যায়। তরুণ-তরুণীরা মাথায় বাঁধার জন্য বন্ধনী ও হাতে বাঁধার জন্য ব্রেসলেটের আদলে বিজয়ের লোগো সংবলিত ফিতা কেনে। বিক্রেতা আরো বলেন, আকার বেঁধে ২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে এক একটি পতাকা। কাগজের পতাকা প্রতি হাজার ৮০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। নগরীর রূপাতলিতে রিক্সার হাতলে জাতীয় পতাকা বেঁধে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন জনৈক আরেক রিক্সাচালক। তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা দেখলেই মনটা তার যেন ভালো হয়ে যায়। তাই নিজেও একটা কিনেছেন। যাত্রীরাও এটা পছন্দ করবে এমনটাই আশা তার। জনৈক এক মটরসাইকেল চালক বলেন, বছরের অন্য সময় গাড়িতে পতাকা টানানোর নিয়ম নেই। ডিসেম্বর মাসে এই নিয়ম যেন সাতক্ষুণ মাফ। এ সময় গাড়িতে পতাকা টানালে নিজেকে অনেক বড় মনে হয়। বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থীনী তন্নী বলেন, বছরের অন্য সময়েও দেশের প্রতি আলাদা টান অনুভূত হয়। অন্তত ডিসেম্বরসহ কয়েকটা মাসে এটা প্রকাশ করার একটা উপলক্ষ্য পাওয়া যায়। তাই পতাকা কিনি। মাথায় হাতে বাঁধি। বাঙালি আবেগী জাতি। আমরা আবেগ প্রকাশ করতে জানি। তাই বিভিন্ন দিবসে উৎসবে মাতি। দিবস ভেদে নানা অনুষঙ্গের মাধ্যমে আবেগের প্রকাশ করি। এখন সারা দেশের মত বরিশালেও উড়ছে আমাদের গর্বের এই বিজয়ের পতাকা। দেখতেও ভালো লাগে, মনটাও যেন অনেক ভাল লাগে।
Post Views:
৪৭১
|
|