বরগুনার আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনার আমতলীতে এক কিশোরীকে তিন বখাটে অপহরণ শেষে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই নাঈম, বেল্লাল ও নয়ন নামের তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (মার্চ ২৯) পুলিশ বিকেলে তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আমতলী উপজেলার চাওড়া লোচা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া কালিবাড়ী গ্রামের এক কিশোরী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার সামনে ঘুরাঘুরি করতেছিল। ওই সময় তিন বখাটে নাঈম, বেল্লাল ও নয়ন কিশোরীর চোখ বেঁধে অপহরণ করে। পরে তারা পার্শ্ববর্তী লোচা এলাকার মাঠে মুগডালের খেতে নিয়ে তাকে হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরীর মা আমতলী থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপুর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে ঘটনার সাথে জড়িত নাঈম, বেল্লাল ও নয়নকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় গণধর্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো: আরিফুর রহমান তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ গণধর্ষণের শিকার কিশোরীকে চিকিৎসক পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। গণ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী সাংবাদিকদের বলেন, আমি বাসার সামনে ঘুরাঘুরি করতেছিলাম এমন মুহূর্তে নাঈম, বেল্লাল ও নয়ন এসে আমার চোখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাকে পার্শ্ববর্তী একটি মুগডালের খেতে নিয়ে হাত পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করেও তাদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পাইনি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। কিশোরীর মা সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়েকে বাসার সামনে থেকে তিন বখাটে এসে অপহরণ করে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে। আমি ওই বখাটের শাস্তি দাবি করছি। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক চাওড়া ইউনিয়নের লোচা গ্রামে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনার তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আসামী নাঈম, বেল্লাল ও নয়নকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।