|
নিহত’র বাবা বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন
চাঞ্চল্যকর মুন্নী হত্যা : চেয়ারম্যান-মাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, মেম্বার গ্রেফতার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর কিশোরী লামিয়া আক্তার মুন্নী (১৫) হত্যার ঘটনায় ৪৩ দিন পর স্থানীয় চেয়ারম্যান ও নিহতের মাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত মুন্নীর বাবা মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে বুধবার মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারিক হাকিম মামলাটি আমলে নিয়ে পিরোজপুর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন জাকির। মামলার আসামিরা হলেন-টিকিকাটা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার, নিহতের কথিত শ্বশুর দাউদখালী ইউপির সাবেক সদস্য শহিদুল ইসলাম, মুন্নীর মা শাহিদা বেগম, নিহতের কথিত স্বামী মো: হাসান, চেয়ারম্যানের সহযোগী ফারুক প্যাদা ও সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের শ্বশুর মোসলেম হাওলাদার ওরফে টাক মোসলেম। এর আগে গত ২৩ মার্চ এ ঘটনায় নিহতের মা শাহিদা বেগম মেয়ে মুন্নীর কথিত শ্বশুর সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম ও জামাতা হাসানসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শহীদুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাহিদা বেগম সুন্দরী হওয়ায় কৌশলে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার পাঁচ বছর আগে মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে শাহিদা বেগমকে ডিভোর্স করায়। এদিকে শাহিদা বেগম সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয়ের পথ পরিষ্কার রাখতে সাহিদা বেগমের কিশোরী মেয়ে লামিয়া আক্তার মুন্নীকে ওই শহীদুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে হাসানের সঙ্গে কথিত বিয়ে দেয়।শহীদুলের সঙ্গে শাহিদা বেগমের বাড়াবাড়িটা বেশি হয়ে যাচ্ছে ভেবে গত ১৯ মার্চ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ও তার লোকজন শহীদুলকে আটক করে মারধর করে। চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার-শাহিদা বেগম-সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম এ তিনজনের ত্রিভুজ অবৈধ পরকীয়ার রশি টানাটানিতে কথিত বিয়ের মাত্র ২০ দিনের মাথায় গত ২০ মার্চ সোমবার গভীর রাতে শহীদুল ইসলামের বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হয় কিশোরী লামিয়া আক্তার মুন্নী। অভিযুক্ত টিকিকাটা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বলেন, হয়রানি কারার জন্য বাদী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে আসামি করেছেন। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো: কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সাহিদা বেগমের দায়ের করা মামলায় পলাতক আসামি নিহত মুন্নীর কথিত শ্বশুর শহীদুল ইসলামকে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টঙ্গী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।
Post Views: ০
|
|