প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » স্বামীর করা মামলায় স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে চাঁদপুরের একটি আদালত
Friday August 27, 2021 , 3:05 pm
দেনমোহরের টাকার কারণে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ি লোকজনের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন নূর মোহাম্মদ
স্বামীর করা মামলায় স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে চাঁদপুরের একটি আদালত
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বামী দেনমোহরের সব টাকা পরিশোধ করার পরও তিনি বারবার সেই টাকা দাবি করে নানাভাবে স্বামীকে নির্যাতন করেছেন। পরে স্বামীর করা মামলায় স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে চাঁদপুরের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো: কফিল উদ্দিন এই আদেশ দেন৷ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নূর মোহাম্মদ গত ১৫ জুলাই চাঁদপুর আদালতে এই মামলা দায়ের করেন ২১ বছর বয়সি স্ত্রী মনি আক্তার মিতুর বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩১ জুন নুর মোহাম্মদের সঙ্গে একই মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুরের দুলাল মিজির মেয়ে মনি আক্তার মিতুর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মোহরানায় বিয়ে হয়৷ বিয়ের কাবিনের সময় ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নুর মোহাম্মদ বাকি ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়৷ বলা হয়, বিয়ের পর থেকেই মিতু তার স্বামীর কাছে বিভিন্ন ‘বাহানায়’ কাবিনের বাকি অর্থ দাবি করেন। এক পর্যায়ে মিতু তার বাবার ঘর করার জন্য স্বামীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করে নেন। এসবের পরেও দাম্পত্য জীবনে শান্তি আসেনি, মিতু ও তার পরিবারের লোকজন দেনমোহরের দাবিতে নূর মোহাম্মদকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেও কোনো সমাধান হয়নি বলে নূর মোহাম্মদের অভিযোগ। অভিযোগে বলা হয়, মিতু ও তার পরিবার আরো ৩ লাখ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মিতু তার সংসার করবেন না মর্মে তালাক চান। বাদীপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ রানা বলেন, নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে এই দেনমোহরের টাকার কারণে তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ি লোকজনের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন। তিনি গত ১৫ জুলাই আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। আদালত ওইদিনই মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি মনি আক্তার মিতু ও তার ভাই মেহেদী হাছানের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ বলেন, বৃহস্পতিবার এই মামলায় মিতু ও তার ভাই মেহেদী স্বেচ্ছায় আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত মিতুর ভাই মেহেদীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করে৷ তবে মিতুর আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।