|
মৃত মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলার বড় বাইজোড়া গ্রামে আর গৃহবধূর বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর যমুনা গ্রামে
বরিশাল শেবাচিমের করোনা ইউনিটে এক মুক্তিযোদ্ধা ও গৃহবধূর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক মুক্তিযোদ্ধার (৭৫) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে বরগুনার বামনা উপজেলার বড় বাইজোড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়। শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: বাকির হোসেন বলেন, জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৪ মে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়। কিন্তু এর আগেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। ওই রিপোর্ট না পাওয়ার আগে বলা সম্ভব হচ্ছে না তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কী না, জানান শেবাচিম পরিচালক।
অপরদিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক গৃহবধূর (২২) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত সোয়া ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের অবহেলায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ওই গৃহবধূর বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর যমুনা গ্রামে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: বাকির হোসেন বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ৯ মে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির পর তিনি করোনায় আক্রান্ত কি-না জানতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। ১০ মে রাতে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপরও অসুস্থ থাকার কারণে তাকে করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। দু’দিন আগে ওই রোগীর পেটে ব্যাথা ও পেট ফুলতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। রাত সোয়া ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে ওই গৃহবধূর স্বজনরা জানান, ২০১৮ সালে ওই গৃহবধূ সন্তান প্রসব করেন। এরপর থেকে তিনি খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হন। গত ৯ মে শ্বাসকষ্ট ও খিচুনি বেড়ে গেলে তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগ থেকে উপসর্গগুলো ভালোভাবে না শুনে চিকিৎসার জন্য তাঁকে করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। ১০ মে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপরও মেডিসিন বা প্রসূতি ওয়ার্ডে স্থানান্তর না করে ওই গৃহবধূকে করোনা ইউনিটে রাখা হয়। সেখানে তাঁকে সঠিক চিকিৎসাও দেয়া হয়নি। চিকিৎসকদের অবহেলার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
Post Views:
৫৭
|
|