|
নগরীর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে
বরিশালে মেয়র-প্রতিমন্ত্রীসহ ১১০০ আ. লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল নগরীর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, সাবেক দুই সিটি মেয়র, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৩৮১ জন নামধারীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (আগস্ট ২২) রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বাদী হয়ে মামলা করেন।কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী জানান, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলার প্রধান আসামি হলেন-সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর। এছাড়া মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৬ জন কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরণ ঘটানো ও সহায়তার অপরাধসহ বেআইনি জনতায় মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা করা, অনধিকার প্রবেশ করে চুরি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও খুন জখমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন-গত ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় নামধারীরাসহ অজ্ঞাত ৭০০ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, রামদা, চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, শাবল নিয়ে নগরীর সদর রোডের টাউন হলের পাশে হামলা করে। তারা গুলি করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে টিভি, কম্পিউটার, সাউন্ড সিস্টেমসহ সাড়ে ৪ লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করে। এছাড়া দ্বিতীয় তলার জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের আগুন দিয়ে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন আগুন নিভাতে গেলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়।
Post Views: ০
|
|