মরিয়মকে ধর্ষণ করা হয়েছে সে কথা সকলে জেনে যাবে এই ভয়ে তাঁকে হত্যা
বরিশালে মরিয়ম হত্যাকান্ড : ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের ভূতেরদিয়া গ্রামের ৫ সন্তানের জননী মরিয়ম বেগম স্বাক্ষি বিহীন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দিগ্ধ আসামী সুমন ফকির (৩৫, পিতা-আতাহার ফকির ও শয়ন চন্দ্র শীল (১৯), পিতা-নরেন চন্দ্র শীলকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। রোববার বেলা ১টায় নগরীর পলিটিকনিক্যাল সড়কস্থ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহ জাহান হোসেন। এসময় তিনি বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করে আনার পর তাদের প্রার্থমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেয়া তথ্যমতে বুধবার (জানুয়ারী ১২) রাতে মরিয়ম বেগ নিজ ঘরে একা থাকার সুবাদে এবং পূর্ব পরিচয়ের সূত্র পূর্ব পরিকল্পনা নেয়া মরিয়মের ঘরে প্রবেশ করে হত্যাকারীরা যৌন নির্যাতন করে। এঘটনা পরের দিন স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে মরিয়ম বেগম সকলের কাছে মুখ খুলতে পারে সেই আশংকায় তাঁকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাহিরে নিয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে। পরে মরিয়মের মরদেহ বসতঘর থেকে ১শত গজ উত্তরে সন্ধা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ জাহান বলেন, এখন মেডিকেল ময়না তদন্তের তথ্য হাতে আসলে সম্পূর্ন নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যার পূর্বে সে কি ধরণের নির্যাতিত হয়েছে। তবে প্রার্থমিক ধারণামতে প্রমাণিত হয় যে, রাতে মরিয়মকে ধর্ষণ করা হয়েছে সে কথা দিনের বেলায় সকলে জেনে যাবে এই ভয়ে তাঁকে হত্যা করে রাতের আধারে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিয়ে প্রমাণ গোপন করতে চেয়েছিল। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (জানুয়ারী ১৩) ভূতেরদিয়া এলাকায় সন্ধ্যা নদীর নালার মধ্যে মরিয়ম বেগমের লাশ পড়ে আছে এই মর্মে পুলিশ মোবাইল কল পেয়ে ঘটনাস্থলে মরিয়মের সন্তান মোঃ এমরান হোসেন (১৯) ও স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। আজ বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ আটক আসামীদের আদালতে হাজির করার মাধ্যমে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড প্রার্থণা করা হবে বলে তিনি জানান।