|
পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে খুব দ্রুত সংস্কার করা হবে-নির্বাহী প্রকৌশলী
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বেহাল সড়ক, জনদুর্ভোগ চরমে
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বেশির ভাগ সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। বর্ষায় সড়কের পিচ খোয়া উঠে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমেছে। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে চলাচল করা রিকশা ও ইজিবাইক উল্টে গিয়ে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। মঠবাড়িয়া শহরের কে এম লতিফ সুপার মার্কেট থেকে দক্ষিণ বন্দর গরুর হাট হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত এক কিলেমিটার সড়কে অর্ধশত গর্ত হয়েছে। এর মধ্যে স্লুইসগেট এলাকা, ইসলামী ব্যাংক, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, নতুন মাছ বাজার এলাকায় ৮ থেকে ১০টি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বর্ষার পনি জমে সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিরুখালী সড়কে পিচ খোয়া উঠে গেছে। সড়কটির স-মিল এলাকায় একটি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে সেখানে খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। টিএন্ডটি সড়কের পারুল ক্লিনিক ও সাগরিকা মোড়, হাসপাতাল এলাকার মাছ বাজার সড়ক, টাওয়ার রোড থেকে সদর ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে মাংস বাজার সড়ক ও ডাকবাংলো সড়কের অনেক স্থানে পিচ খোয়া উঠে গর্ত হয়ে গেছে। বর্ষায় সড়কের গর্তে পানি জমে সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক আল আমিন বলেন, হাসপাতাল সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আসা রোগীদের এ সড়কটি দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো যেতে হয়। সড়কটি তিন মাস ধরে বেহাল হয়ে অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত দিয়ে গাড়ি চলাচল করার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। হালকা যানবাহন উল্টে গিয়ে যাত্রী ও চালকরা আহত হন। হাসপাতাল সড়কের ব্যবসায়ী আব্দুর রব বলেন, হাসপাতাল সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে রোগীরা হাসপাতালে যাওয়ার পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ও বড়মাছুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ সড়ক দিয়ে অফিস ও আদালতে যাওয়া-আসা করেন। সড়কটি বেহাল হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সড়কটি সংস্কার জন্য আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানালেও কোনো কাজ হচ্ছে না। পৌরসভার ডাকবাংলো সড়কের বাসিন্দা মো: ইব্রাহিম বলেন, ডাকবাংলো থেকে বটতলা মোড় পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কটিতে অসংখ্য খানাকন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগ গর্তে ইটের খোয়া ফেলে যান চলাচলের ব্যবস্থা করছেন। কে এম লতিফ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী শাহজাদা জমাদ্দার বলেন, আমার দোকানের সামনের সড়ক ছয়টি ছোট বড় গর্ত হয়েছে। সড়কটি জুড়ে এমন অসংখ্য গর্ত রয়েছে। সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে যানবাহনের চাকায় গর্তের পানি ছিটে পথচারীদের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। মঠবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালেক বলেন, পৌরসভার যেসব সড়ক বেহাল হয়ে আছে, সেগুলো পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে খুব দ্রুত সংস্কার করা হবে। পৌরসভা থেকে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করব।
Post Views: ০
|
|