মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুরের কাউখালীতে ভাবীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় দেবর ফোরকান হাওলাদারকে (৩৮) জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। জানা যায়, উপজেলার বৌলাকান্দা গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে আঞ্জুমারা মিতুর (৩২) ১২ বছর আগে ঝালকাঠী সদর উপজেলার বংকুরা গ্রামের আঃ ছালামের ছেলে স্বামী কামরুল হাওলাদার (৪০) সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর আঞ্জুমারা স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস করেন। ঢাকার ডেমরায় তাঁর স্বামী কামরুল ও দেবর ফোরকান হাওলাদার (৩৮) একসাথে ব্যবসায়ী শুরু করেন। সেই ব্যবসা নিয়ে স্বামী ও দেবরের মধ্যে কিছু দিন আগে একটু ঝামেলা হলে তাদের দুই ভাইয়ের মধ্য কথাকাটাকাটি হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার আঞ্জুয়ারা মিতু ডেমরার স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে আর বাসায় না ফেরায় স্বামী কামরুল হাওলাদার ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। পরের দিন এলাকাবাসী নারায়নগঞ্জে রাস্তায় এক নারীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খরব দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করে মর্গে পাঠায়। আঞ্জুয়ারার স্বামী ও দেবর এই খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করে। পরে আঞ্জুয়ারার লাশ ঢাকা থেকে নিয়ে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বামী ও দেবর কাউখালীর বৌলাকান্দা তাঁর বাবার বাড়িতে দাফন করার জন্য নিয়ে আসে। এ সময় দেবর ফোরকান হাওলাদারের গতিবিধি এলাকাবাসীর সন্দেহজনক হলে ফোরকান জানাযা ও দাফন না দিয়েই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী তাকে ধাওয়া করে আটক করে কাউখালী থানা পুলিশে সোপর্দ করে। থানা পুলিশ ডেমরা থানাকে খবর দিলে ডেমরা থানার পুলিশ কাউখালী থানায় পৌঁছে আঞ্জুয়ারার স্বামী কামরুল হাওলাদার ও দেবর ফোরকানকে জিজ্ঞেসাবাদ করার জন্য ডেমরা থানায় নিয়ে যায়।