Current Bangladesh Time
শুক্রবার এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ চলছে : কৃষিমন্ত্রী 
Monday May 9, 2022 , 4:40 pm
Print this E-mail this

বেশিরভাগ জমিতে বছরে একটিমাত্র ফসল আমন ধান হয়, আর বাকি সময় পতিত থাকে

পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ চলছে : কৃষিমন্ত্রী


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলাসহ উপকূলের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। সোমবার (মে ৯) সকালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাকেরকাঠি ও নন্দপাড়া গ্রামে পতিত জমিতে বোরো ধান আবাদের ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবসে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর প্রমুখ। এসময় মন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে বছরে একটিমাত্র ফসল আমন ধান হয়, আর বাকি সময় পতিত থাকে। এ বিপুল পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে দেশের বিজ্ঞানীরা উন্নত জাতের ধান, মুগডাল, তরমুজসহ বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর মধ্যে লবণসহিষ্ণু জাতও রয়েছে। এসব জাতের দ্রুত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বাকেরকাঠি গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো পতিত জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। লো-লিফট পাম্পের (এলএলপি) মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করে কৃষকদের চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। অনুষ্ঠানে কৃষকরা লো-লিফট পাম্পের অভাব, খাল না থাকা ও পাওয়ার টিলার না থাকাকে জমি পতিত থাকার ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হিসেবে মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, লো-লিফট পাম্প, খাল খনন-পুনঃখনন ও পাওয়ার টিলার সরবারহ করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় প্রশাসন, কৃষি মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সম্পৃক্ত করে এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এটি করতে পারলে এসব এলাকার কৃষিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে। পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে। অন্যদিকে এক ফসলি জমি দুই-তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত হবে। এর মাধ্যমে বরিশাল পূণরায় বাংলাদেশের শস্যভাণ্ডারে পরিণত হবে। পরে দুপুরে কৃষিমন্ত্রী পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর ও করমজাতলা গ্রামে মুগ ডালের মাঠ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, পটুয়াখালী, ভোলাসহ এ অঞ্চলে মুগ ডালের সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকার কৃষকদের উন্নতমানের বীজসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উন্নত জাতের বারি মুগডাল-৬ এর উৎপাদনশীলতা অনেক ভালো। বিঘাতে ৫-৬ মণ। এবছর শুধু পটুয়াখালী জেলাতেই প্রায় এক লাখ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ হয়েছে। আর পটুয়াখালী ও ভোলা দুই জেলা মিলে বছরে ২ লাখ টন মুগ ডাল উৎপাদন হয়। এই মুগডালের চাষকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। মুগডালের মাড়াই সমস্যা সমাধানের জন্য যন্ত্র দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা মাড়াইযন্ত্র তৈরি করেছেন, যার দাম ৬০-৭০ হাজার টাকা। আগামী বছর ভর্তুকিমূল্যে এ যন্ত্র কৃষকদের দেওয়া হবে। এর ফলে দাম পড়বে ২৫-৩০ হাজার টাকা। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কম পড়বে, তারাও লাভবান হবেন।




Archives
Image
অভিমান ভুলে একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন তাহসান-মিথিলা
Image
বোতলজাত সয়াবিনের লিটারে দাম বাড়ল ৪ টাকা
Image
শিল্পী সমিতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না ফেরদৌস-মৌসুমী!
Image
একই পরিবারে নিহত ৬, হানিমুনে যাওয়া হলো না নবদম্পতির
Image
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর