Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » না ফেরার দেশে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত 
Tuesday August 25, 2020 , 8:56 am
Print this E-mail this

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন

না ফেরার দেশে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : না ফেরার দেশে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্তরঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বয়েন্টনবীচ বেথেষ্ডা সাউথ হাসপাতালের হসপিস কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। কনিষ্ঠ কন্যা কবিতা দাসগুপ্ত হ্যাপির ফ্লোরিডার বাসায় ছিলেন সি আর দত্ত। গত বৃহস্পতিবার ওই বাসার বাথরুমে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙে যায় বলে তাঁর জামাতা শংকর গুপ্ত জানান। সাথে সাথে তাঁকে নিকটস্থ বেথেস্ডা ওয়েস্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাঁর গোড়ালিতে মাইক্রো সার্জারি করেন। সে সময় তাকে সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞান (এনেসথেসিয়া) করতে হয়। সি আর দত্ত এ্যাজমায় আক্রান্ত থাকায় ওই সার্জারির পর শ্বাসকষ্ট মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। একইসাথে তার কিডনিও অচল হয়ে পড়ে। কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জ্ঞান ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও কথা বলছিলেন অসংলগ্নভাবে। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। চিত্ত রঞ্জন দত্ত ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন৷ কিছুদিন পর ‘সেকেন্ড লেফটেনেন্ট’ পদে কমিশন পান। ১৯৬৫ সালে সৈনিক জীবনে প্রথম যুদ্ধে লড়েন তিনি৷ ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে আসালং এ একটা কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন তিনি৷ এই যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাকে পুরস্কৃত করে৷ ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেব দায়িত্ব দেয়া হয় এম.এ.জি ওসমানীকে। তিনি বাংলাদশেকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন৷ সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই শায়স্তাগঞ্জ রেল লাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে ৪নং সেক্টর গঠন করা হয় এবং এই সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন চিত্ত রঞ্জন দত্ত৷ সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সিলেটের রশীদপুরে প্রথমে ক্যাম্প বানান তিনি৷ চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চা বাগান৷ চা বাগানের আড়ালকে কাজে লাগিয়ে তিনি যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ করে দিতেন৷ পরবর্তী সময়ে তিনি যুদ্ধের আক্রমণের সুবিধার্থে রশীদপুর ছেড়ে মৌলভীবাজারে ক্যাম্প স্থাপন করেন৷ চিত্ত রঞ্জন দত্ত ১৯৭২ সালে রংপুরে ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন৷ সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন৷ ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য সীমান্ত রক্ষা প্রহরী গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সরকার৷ এই বিষয়ে চিত্ত রঞ্জন দত্তকে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ সরকার৷ পরবর্তীকালে তিনি সীমান্ত রক্ষা প্রহরী গঠন করেন এবং নাম দেন বাংলাদেশ রাইফেলস। বর্তমানে এ বাহিনীর নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। চিত্ত রঞ্জন দত্ত ছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রথম ডাইরেক্টর জেনারেল। এছাড়া ১৯৭১-এর পর থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তাকে নানা ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয়৷ ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি হেড কোয়ার্টার চিফ অব লজিস্টিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৭৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন৷ ১৯৭৯ সালে বি আর টি সি এর চেয়ারম্যান হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮২ সালে তিনি পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন৷ ১৯৮৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন৷




Archives
Image
যাত্রীবেশে অটোরিকশায় ওঠেন দম্পতি, চালকের গলায় ছুরি বসিয়ে ছিনতাই
Image
বিয়ের পর স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় প্রতারণা ও যৌতুকের মামলায় স্বামী কারাগারে
Image
নকল জুুুুস তৈরির কারখানার সন্ধান, মালিকের ৩ মাসের কারাদণ্ড
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: চান মিয়ার শেষ বিদায়