দুষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি পরিবেশবিদদের
দখল দুষণে সংকুচিত হচ্ছে বরিশাল কীর্তনখোলা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : দীর্ঘদিন ধরে বরিশালের নদীর তীর দখলকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। তদারকি না থাকায় দিন দিন নদী দখল ও দুষণ বাড়ছে । দুই তীরে অবৈধ দখলের কারণে ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে প্রায় দেড় কিলোমিটার প্রশস্ত কীর্তনখোলা। অযোগ্য হয়ে পড়ছে কীর্তনখোলার পানি। এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়বে বলে আশংকা পরিবেশবিদদের। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। দখল দুষণে ক্রমেই সংকুচিত বরিশালের কীর্তনখোলা। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর দুই তীর অবৈধ দখলের মহোৎসব চলছে। ৫ হাজারের বেশী অবৈধ দখলে শোভা পাচ্ছে টং ঘর থেকে বহুতলভবন। গড়ে উঠেছে ইট-বালু-কয়লা সহ নানা ধরণের ব্যবসা। কেউ গড়েছেন বাণিজ্যিক জেটি ও ঘাট, কেউ গোডাউন বানিয়েছেন। প্রশাসনের তদারকির অভাবে দিনদিন সংকুচিত হয়ে বইছে এক সময়ে প্রমত্তা কীর্তনখোলা নদী রাসায়নিক বর্জ্যে দূষিত পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। নদীর মধ্যে গাইড ওয়াল নির্মাণ আর খুঁটি গেড়ে অবৈধ দখলের পরিধি বাড়াচ্ছেন অনেকেই। অবৈধ দখলদাররা দিচ্ছেন তাদের খোঁড়া যুক্তি। প্রাচ্যের ভেনিস বরিশাল রক্ষায় এখনই নদীর দুই তীরের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ এবং দুষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি পরিবেশবিদদের। জীব বৈচিত্র্য হুমকিতে পড়বে বলেও আশংকা। এদিকে উচ্চাদালতের নির্দেশনা মেনে সব নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং দুষণ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক। বরিশাল বিভাগে অর্ধ শতাধিক নদীর মধ্যে সরু হয়ে গেছে কয়েকটি।