|
বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে
বিসিসির মেয়র হতে চরমোনাই পীরের ছোট ভাইয়ের মামলা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি ফলাফল বাতিল ও ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণা দেওয়ার জন্য আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন সৈয়দ মু. ফয়জুল করিম।

তিনি চরমোনাই পির সৈয়দ ফয়জুল করিমের ছোট ভাই। মামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহসহ প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বলেন, আদালত আমাদের আর্জি শুনেছেন। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করিম জয়ী হলেও তাকে পরাজিত ঘোষণা করে। তাকে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিহত করেছে স্বৈরাচারের লোকজন। তার ওপর হামলাও হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, তিনি তো (হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করমি) ইন্তেকাল করেন নাই। এই ইন্তেকাল কমিশন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে পরিকল্পিতভাবে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের হয়ে পরাজিত ঘোষণা করেছে। তখন আইনি ব্যবস্থা এমন ছিল যে, আমরা চাইলেও কোথাও প্রতিকার পাইনি। ৫ আগস্টের পরে পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনজীবী বলেন, বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এতে নগরবাসী কোনো নাগরিক সেবা পাচ্ছে না। আমরা চাই ২০২৩ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে আদালত জনগণের প্রতিনিধি মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করিমকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন। মামলার অপর বিবাদীরা হলেন-নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন হাওলাদার, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান, লাঙ্গল প্রতীকের ইকবাল হোসেন তাপস এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বলেন, আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। পরবর্তী শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অপর ৬ প্রার্থী। নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার; যা নিয়ে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয় এবং তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। পরবর্তীতে হাতপাখার প্রার্থীর কাছে ক্ষমা চান সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই নির্বাচনে প্রকাশিত ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পান ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করমি পান ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। ফলাফল নিয়ে সেই সময়েই তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়।
Post Views:
০
|
|