Current Bangladesh Time
সোমবার অক্টোবর ৭, ২০২৪ ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে গণধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা 
Wednesday December 6, 2017 , 2:03 pm
Print this E-mail this

নদীতে ভাসিয়ে দেয়া সাদিয়ার লাশের সন্ধান এখনও মেলেনি

বরিশালে গণধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা


মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ঘরছাড়া করে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় নগরীর বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব হেলথ এন্ড টেকনোলজীর শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারকে (২১)। পরবর্তীতে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত দুই বখাটে। তবে এখনও (মঙ্গলবার পর্যন্ত) সাদিয়ার লাশের সন্ধান এখনও মেলেনি। কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল ওহাব জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার পুত্র সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২৪) ও তার সহযোগী একই গ্রামের দেলোয়ার আকনের কিশোর পুত্র হাফিজ আকনকে (১৫) গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গণধর্ষণের পর সাদিয়াকে হত্যা করে লাশ নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের রব হাওলাদারের পুত্র নাজমুল ইসলাম নয়নকে (২৫) গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বরাত দিয়ে এসআই আব্দুল ওহাব আরও জানান, নগরীর ডেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীর খানের কন্যা সাদিয়ার সাথে সিরাজের মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে গত ২২ নভেম্বরর তার আরেক সহযোগী নাজমুল ইসলাম নয়নের সহায়তায় সাদিয়াকে মঠবাড়িয়ায় নেয়া হয়। এরপর রাত সাড়ে নয়টার দিকে বড়মাছুয়া এলাকার বলেশ^র নদীর পাড়ে নিয়ে সাদিয়াকে তারা তিনজনই গণধর্ষণ করে। এসময় সাদিয়া চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ বলেশ্বর নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। সূত্রমতে, গত ২২ নভেম্বর বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাদিয়া। এরপর ওইদিনই কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন সাদিয়ার পিতা আলমগীর খান। পরবর্তীতে সাদিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সহায়তায় প্রধান অভিযুক্ত সিরাজকে গ্রেফতারের পর তার ঘর থেকে সাদিয়ার ব্যবহৃত কানের দুল (বলরিং) উদ্ধার করা হয়। এরপর সিরাজের স্বীকারোক্তি মতে সোমবার দুপুরে অপর আসামি হাফিজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সিরাজ ও হাফিজকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক




Archives
Image
দুর্গাপূজায় স্কুল-কলেজ বন্ধ টানা ১১ দিন, অফিস ৩ দিন
Image
গ্রাহককে পিটিয়ে রক্তাক্ত, স্টার কাবাবের ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তার ১১
Image
বরিশালে অফিস কক্ষ থেকে ভূমি কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার!
Image
বরিশালে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট ও উত্তোলন
Image
কারসাজি করে বাড়ানো হয়েছে ডিমের দাম