মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে থানা পুলিশের এসআইসহ এক কনস্টেবলকে পিটিয়ে অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলাকারীরা পুলিশের হাতে আটক এক আসামীকে ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় টিএন্ডটি’র এক কর্মকর্তা ও এক জামায়াত নেতাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ওই মামলার এজাহার ভুক্ত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের মৃত কাছেম আলীর ছেলে ও টিএন্ডটি’র সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (বাগেরহাট জেলায় কর্মরত) এমদাদুল হক (৫৫), একই গ্রামের আজাহার আলী বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস (৩৫), মৃত মোজাফ্ফর বিশ্বাসের ছেলে শাহজাহান বিশ্বাস (৫৫) এবং মামুন বিশ্বাসের স্ত্রী পলি বেগম (৩০)। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার বিকালে। থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের মোশারফ বিশ্বাস নামে একটি ব্যক্তিকে ওই দিন প্রতিপক্ষরা মারধর করে ঘরে আটকে রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে থানা পুলিশের এসআই আব্দুল হালিম ও কনস্টেবল নাসিরুজ্জামান সেখানে যায়। এ সময় মোশারফ বিশ্বাসকে একটি ঘরে আটক পেয়ে উদ্ধার করে ভ্যানে করে নেয়ার সময় ওই গ্রামের দেলোয়ার বিশ্বাসের ছেলে রুবেল বিশ্বাস (৩০) পুলিশকে বাধা দেয়। এ সময় এসআই আব্দুল হালিম তার পরিচয় জানতে চাওয়ায় সে পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রুবেল পুলিশের পরিধেয় সরকারি পোষক ধরে কয়েকটি ঘুষি মারে এবং টানা-হেচড়া করে পুলিশ অফিসারের র্যাংক-ব্যাজ ছিড়ে ফেলে। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যের সহায়তায় রুবেলকে আটক করে। তখন অন্যান্যরা চার দিক থেকে দুই পুলিশ সদস্যকে ঘিরে ধরে মারপিট করতে থাকে। এ সময় রুবেল পুলিশ অফিসারের কোমরে থাকা পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তিনি পিস্তল রক্ষা করতে চাইলে অন্যরা এ সময় রুবেলকে ছিনাইয়া নেয়। নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহার ভুক্ত ৪ আমাসীকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।