Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার মে ৭, ২০২৪ ১২:৫২ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বরগুনা জেলা হাসপাতাল! 
Tuesday September 7, 2021 , 8:55 pm
Print this E-mail this

নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌর কর্তৃপক্ষ

ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বরগুনা জেলা হাসপাতাল!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে খাবারের উচ্ছিষ্ট, মেডিকেলের বর্জ্য, রক্তমাখা গজ-তুলাসহ পরিত্যক্ত জিনিসপত্র। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করায় রীতিমতো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বরগুনা জেলা হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী স্থানগুলো। রোগী ও দর্শনার্থীরা দুর্গন্ধে নাকাল হয়ে উঠলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌর কর্তৃপক্ষ। আগত রোগীর স্বজনদের পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মরত স্টাফরাও ফটকটির ডান পাশে মসজিদের সামনে করোনা ইউনিটের দ্বিতীয় তলা থেকে সারাদিনই পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ফেলে যাচ্ছেন। এবং হাসপাতাল ভবনের পূর্ব পাশে চলাচলের পথেও অনবরত ময়লা ফেলা হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে এসে প্রবেশপথেই নাকে টিপে ধরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে। তীব্র দুর্গন্ধে বমি হওয়ার উপক্রম। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে। স্থানীয়রা জানান, শুধু রোগী ও রোগীর স্বজন নন, হাসপাতালে স্টাফরাও এখানে এসে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যাচ্ছেন। অথচ পৌরসভা অথবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। জেলার প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সামনে এমন বেহাল অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন একটি সচেতন মহল। সিনিয়র সাংবাদিক এ্যাড. এম মজিবুল হক কিসলু  বলেন, লোকজন হাসপাতালে সেবা নিতে এসে প্রবেশপথেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকায় থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যত্রতত্র ময়লা ফেলায় পরিবেশের কতটা ক্ষতি হচ্ছে জানতে চাইলে বরগুনা জেলা হাপাতালের চিকিৎসক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: তারেক হাসান বলেন, যত্রতত্র ময়লা থেকে করোনাভাইরাস সহ অনন্য রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে তাই আমাদের বরগুনা জেলা হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উন্নত মানের নির্দিষ্ট স্থান দরকার। আর এই স্থান না থাকার কারণেই যেখানে সেখানে ময়লা ফেলছে রোগী ও রোগীর স্বজনরা যদিও আমরা রোগীদের বারবার সচেতন করার চেষ্টা করছি। যত্রতত্র ময়লা ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ সোহরাব উদ্দিন বলেন, করোনা ইউনিটের রোগীদেরকে বারবার মানা করা সত্ত্বেও তারা জানালা দিয়ে বাহিরে ময়লা ফেলছে। এমনিতেই আমাদের জনবল সংকট এত বড় হাসপাতলে শুধু একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং পৌরসভার ৫ থেকে ৬ জন রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েছি এবং তারা আমাকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করতে বলেছেন। আমি সেটিও করেছি। কিন্তু এখন পযর্ন্ত  কোন উন্নত মানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা বস্থা করা হয়নি।




Archives
Image
ভোলার লালমোহন থেকে ৭ বছর বয়সী অপহৃত শিশু উদ্ধার
Image
নির্বাচিত হলে সদর উপজেলার দশটি বিষয়ে আগে গুরুত্ব পাবে – ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন
Image
উন্নয়নের স্বার্থে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিন – এসএম জাকির হোসেন
Image
খান শওকতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
Image
আগামী তিন দিন দেশের সব বিভাগে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে