Current Bangladesh Time
বুধবার মে ৮, ২০২৪ ৯:৫০ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বিসিসি’র বকেয়া ৪২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতে অনীহা! 
Thursday September 22, 2022 , 4:39 pm
Print this E-mail this

তাদের কাছে ওজোপাডিকোর প্রায় ৫৯ কোটি টাকা বকেয়া-বিদ্যুৎ বিভাগ

বিসিসি’র বকেয়া ৪২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতে অনীহা!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ না হওয়ায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে অর্ধশত কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগ বরিশাল নগরের সড়ক বাতিসহ পানির পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যা নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হলেও বর্তমান পরিষদ গোটা বকেয়ার দায় নিতে রাজি নয়। তবে নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান পরিষদের প্রধান সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

বর্তমান পরিষদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে মোট ১১২টি বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। যার অনুকূলে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত টানা তিন পরিষদ ধরে সারচার্জসহ মোট বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরনের সময়কালে অর্থাৎ জুন ২০১৩ পর্যন্ত ২০ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৫ টাকা বকেয়া ছিল। সেই পরিষদ এক টাকাও পরিশোধ করেনি। এরপরে অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের মেয়াদকালে নতুন বকেয়া ২১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৫  হাজার ৯৩৯ টাকা নিয়ে মোট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ১১ লাখ ২৯ হাজার ৮৮ টাকা। যদিও ওই পরিষদ ১ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা পরিশোধ করে। এর পরবর্তীতে নভেম্বর ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্’র আমলে নতুন বকেয়া ১৫ কোটি ৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ টাকা নিয়ে মোট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৭ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৯ টাকা। বর্তমান পরিষদের দাবি, তাদের আমলে প্রতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের বিলের অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বর্তমান মেয়রের আমলে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ২০৭ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যা এ যাবৎকালে কোনো মেয়রের আমলে সর্বোচ্চ।

এ পরিষদের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, কোনো কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে এভাবে সড়ক বাতি ও পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ কেটে দেওয়া হলো। নগরাবাসীকে এভাবে দুর্ভোগে ফেলাটা আমরা মনে করি সেচ্ছাচারিতা ও হটকারী সিদ্ধান্ত। বকেয়া যে শুধু বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে এমনটা নয়, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনেরও কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। কিন্তু তাদের অবস্থা তো আমাদের মতো হয়নি। ২০২১ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের সই করা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক সভার রেজুলেশনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে যেসব পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে তা পরিশোধ না করলে সড়কবাতি ব্যতিত অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা। এছাড়া ওই রেজুলেশনে বলা হয়েছে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন বকেয়া বিদ্যুৎ বিল এককালীন পরিশোধ না করতে পারলে কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা এবং প্রয়োজনে সারচার্জ মওকুফের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের নিকট প্রস্তাব দিলে মওকুফের ব্যবস্থা করার কথা। যার কোনটিই মানেনি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, জনগণ আমার প্রতি খুশি, তাদের অখুশি করার জন্য এমনটা হতে পারে। লোকাল ফান্ডের টাকা দিয়ে কর্মচারী বেতন ও উন্নয়নমূলক কাজ করতে হচ্ছে, তবে সরকারি প্রজেক্টের টাকা আসলে এতো বিদ্যুৎ বিল দেওয়া ব্যাপার ছিল না। তারপরও বলেছি আমি যতটুকু পারি পরিশোধ করে যাবো। তিনি বলেন, আমাকে ২৫ কোটি টাকা দিতে বলা হচ্ছে, কিন্তু আমার সময় এ ২৫ কোটি টাকার বকেয়াই তো হয় নাই। আগের মেয়রদের সময়ের বকেয়া তারা কেন আদায় করেননি। তখন যে টাকা কর্পোরেশনের আয় হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে সেই বিলগুলো দেওয়ার কথা ছিল। আমি শপথ নেওয়ার পর থেকে দায়-দায়িত্ব নিতে পারি, তার আগেরটা তো আমার না। এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, সিটি কর্পোরেশনের কাছে ওজোপাডিকোর প্রায় ৫৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণ বাড়ছে, গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে শতাধিক চিঠি দিয়েও এর সমাধান হয়নি। বকেয়া টাকা আদায় না হওয়ায় তারা শহরের ১৫টি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।




Archives
Image
কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ ২ দিনের রিমান্ডে
Image
কীর্তনখোলা নদী কিনেছে সামিট বরিশাল পাওয়ার লিমিটেড!
Image
বরগুনার তালতলীতে তিন চেয়ারম্যানসহ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা
Image
বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম : সিইসি
Image
বরিশালের দুই উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ