Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার মে ৭, ২০২৪ ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » পটুয়াখালীর বাউফলে আ.লীগের দু’গ্রুপের হামলা-পাল্টা হামলায় আহত ১৫ 
Sunday May 24, 2020 , 7:30 pm
Print this E-mail this

মুমুর্ষ অবস্থায় দু’জনকে বরিশাল শেবাচিম এ প্রেরণ করা হয়েছে, দফায় দফায় চলা ওই সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয়েছে

পটুয়াখালীর বাউফলে আ.লীগের দু’গ্রুপের হামলা-পাল্টা হামলায় আহত ১৫


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর বাউফলে করোনা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতামূধক ও ঈদ শুভেচ্ছা তোরণ নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। মুমুর্ষ অবস্থায় দু’জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দফায় দফায় চলা ওই সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয়েছে। পরে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাকির হোসেন ও বাউফল দশমিনা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো: ফারুক হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় বাউফল পৌর শহরে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহতদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে বাউফল থানা সংলগ্ন ডাক বাংলোর সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ এমপির পক্ষে যে কোন ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক শুভেচ্ছা সম্বলিত ব্যানার দিয়ে বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ইব্রাহিম ফারুক প্রতিবছরই বাউফল থানা সংলগ্ন ডাকবাংলোর সামনে ব্রিজের ঢালে তোরণ নির্মাণ করেন। এবছরও পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা সংম্বলিত ব্যানার দিয়ে ওই স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছিল। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকরা ওই স্থানে তোরণ নির্মাণে বাঁধা দেয় এবং পূর্বে শুরু করা তোরণের সরঞ্জমাদি ফেলে দিয়ে মেয়রের পক্ষে তোরণ নির্মাণ করতে শুরু করে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা পর্যন্ত ধাক্কাধাক্কি এবং কিলঘুষি চালাচালি হতে থাকে।

এসময় পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে মৃদু লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পৌর মেয়র মো: জিয়াউল হক জুয়েল ঘটনাস্থলে এসে পৌর সভাপতি মো: ইব্রাহিম ফারুকের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয় গ্রুপেরই নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। এক পর্যায়ে মেয়র গ্রুপের সমর্থকরা পৌর সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লাসহ আ.স.ম. ফিরোজের সমর্থকদের উপর রামদা, হকিষ্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায়। হামলায় আ.স.ম. ফিরোজ গ্রুপের সমর্থিত-তাপস (৩৪) ইমাম (৩০) জসিম (৩৪), শামিম (২৫), পৌর যুবলীগ সভাপতি মামুন খান ( ৪৭), ইয়ার খান (৪৩), মিরাজ (২৩) মনির (২৮) গুরুতর আহত হয়। এ খবর পেয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাকির হোসেন ও সহকারী পুলিশ সুপার মো: ফারুক হোসেন ঘটনাস্থলে এসে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের থামাতে চেষ্টা করেন। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম ফারুক বলেন, প্রতি বছরই বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে থানা সংলগ্ন জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে ব্রিজের ঢালে তিনি তোরণ নির্মাণ করেন। অপরদিকে পৌর মেয়রের পক্ষে থানার পশ্চিম পাশে তোরণ নির্মাণ করা হয়। কি কারণে, কি উদ্দেশ্যে আমাদের তোরণ সরিয়ে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে তাদের তোরণ নির্মাণ করতে এলো সেটা প্রশাসনকে খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, বাউফলে রাজনৈতিক কালিমা লেপনের জন্যই মেয়রের মদদে তার সমর্থকরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। তাদের হামলায় আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হামলার সময় মেয়র সমর্থকদের মধ্যে কেউ কেউ আগ্নেয়াস্ত্রও এনেছে বলে আমাদের নেতাকর্মীরা জানিয়েছে। বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, এটা পৌরসভার সম্পত্তি এখানে আমার সিদ্বান্তে তোরণ হবে, আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়েছে।




Archives
Image
খান শওকতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
Image
আগামী তিন দিন দেশের সব বিভাগে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে
Image
আমি নির্বাচিত হলে সদর উপজেলার দূর্নীতির ঘর তালাবদ্ধ করবো : এসএম জাকির হোসেন
Image
বরিশালে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় কলেজছাত্রকে কুপিয়ে জখম
Image
থমথমে বরিশাল নথুল্লাবাদ, মিছিল থেকে আটক ২