|
ইমন ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে
প্রেমের বিয়ের ৮মাস : বরিশাল মর্গে পড়ে আছে রিয়ার লাশ!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : প্রেমের সম্পর্কে আট মাস পূর্বে ১৬ বছরের তরুনী তাঁর প্রেমিককে বিয়ে করে সুখের সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলো। অবশেষে তাঁর সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নেই পরিণত হয়েছে। বর্তমানে (নভেম্বর ১২, দিবাগত রাতে) বরিশাল মর্গে পরে রয়েছে রিয়া মনি (১৬) নামের ওই গৃহবধূর লাশ। মেহেন্দিহঞ্জ থানার ওসি মো: ফকরুল ইসলাম বলেন, রিয়া মনির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। মৃত রিয়া মনি মুলাদী উপজেলা সদরের বাসিন্দা রায়হান মন্ডলের মেয়ে। বুধবার দিবাগত রাতে মৃত রিয়া মনির বাবা রায়হান মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের সম্পর্কে গত মার্চ মাসে মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের ইমন হাওলাদারের সাথে রিয়া মনির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইমন ও তার পরিবারের সদস্যরা কারণে অকারণে রিয়া মনিকে নির্যাতিত চালাতো। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রিয়া মনির নানী মৃত্যুবরণ করেন। খবর পেয়ে রিয়া তাঁর নানীর লাশ দেখতে আসার কথা বললে তাঁকে আসতে দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে না বলে পালিয়ে নানীর লাশ দেখতে আসার পথে মেহেন্দিগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে রিয়া মনিকে তাঁর শ্বশুর পরিবারের লোকজন জোরপূর্বক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। নভেম্বর ১১ বেলা ১১ দিকে রিয়া মনির স্বামী ইমন তাকে (রায়হান মন্ডল) মোবাইল ফোনে জানায়, রিয়া মনি গলায় ফাঁস দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পর পূণরায় ফোন করে জানায়, রিয়া মনি মারা গেছে। এরপর থেকে আর তাদের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। রায়হান মন্ডল আরও বলেন, মেহেন্দিগঞ্জ থানা থেকে ফোন করে তাকে জানানো হয়, রিয়া মনির লাশ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরে বুধবার সকালে মর্গে গিয়ে রিয়া মনির লাশ দেখতে পান। কিন্তু রিয়া মনির শ্বশুর পরিবারের কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। রায়হান মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, আমার শতভাগ বিশ্বাস রিয়া মনির স্বামী ও শ্বশুড় পরিবারের সদস্যরা রিয়াকে হত্যা করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিয়া মনির মৃত্যুর পর থেকে ইমন ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি (রায়হান) উল্লেখ করেন।
Post Views: ০
|
|