Current Bangladesh Time
শনিবার নভেম্বর ১, ২০২৫ ৪:০০ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » পুলিশ জানাল, ডন ও সামিরা দেশেই আছেন 
Thursday October 30, 2025 , 4:29 pm
Print this E-mail this

চিত্রনায়ক সালমান শাহের হত্যা মামলার আসামি

পুলিশ জানাল, ডন ও সামিরা দেশেই আছেন


মুক্তখবর বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়ক সালমান শাহের হত্যা মামলার আসামি সাবেক স্ত্রী সামিরা হক এবং খলনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল হক ডন দেশেই আছেন। এ কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়নি। এ পর্যন্ত ৪টি তদন্ত সংস্থা সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিলেও নতুন করে হত্যা মামলা করেছেন তার মামা। সালমান শাহ, ২৯ বছর ধরে যাঁর মৃত্যু রহস্যই হয়ে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলা এ পর্যন্ত তদন্ত করেছে পুলিশের ৪টি সংস্থা। তাদের সবাই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দেয়। তবে সর্বশেষ ২১ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন সালমান শাহর মামা। মামলায় আসামি সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক, তার বন্ধু চলচ্চিত্রের খলনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল হক ডন, বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন। সালমান শাহর মরদেহে রক্তের দাগ দেখার অভিযোগ করেন তাঁর মা। এ নিয়ে কথা বলেন ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা মর্গ সহকারী।  ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গ সহকারী মোহাম্মদ সেকেন্দার বলেন, ‘ওই সময়ে গলায় যে দাগ ছিল সেগুলো নোট করা হয়। পুরো বডির সিমটম নোট করার পর নিখুঁতভাবে ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছেন। পোস্টমর্টেমে আমাদের যেখানে যেখানে নিয়ম কাটার, সেটা করে সম্মানের সহিত সেলাই করে দিয়েছি।’ মরদেহে রক্ত থাকার বিষয়ে এই মর্গ সহকারী বলেন, ‘মৃত্যুর আগে রক্ত থাকলে সেটার ছবি নিশ্চয়ই আছে, কেউ যদি তুলে থাকে ওইটা একটা ডকুমেন্ট। আর ময়নাতদন্তের পর রক্ত লাগলে এইটাতে কিছু করার নাই।’ এদিকে ১৯৯৭ সালে এক আসামির জবানবন্দি ঘিরে মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভি আহমেদ ফরহাদ জানান, সালমানকে হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনা সাজানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন রেজভি। পুলিশ বলছে, সামিরা ও ডন দেশেই আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা না গেলেও তদন্ত চলছে। ডিএমপি ডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে এজাহারে নাম রয়েছে তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। অবস্থান শনাক্ত করতে পারলে হয়তো আমরা তাদের কাছ থেকে মামলার তদন্তের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারব। এ ক্ষেত্রে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হবে।’ আসামিদের দেশত্যাগে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার সামিরার আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যান তার স্বামী।

কী ধরনের সম্পর্ক ছিল সালমানের সঙ্গে শাবনূরের?

ঢালিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটিগুলোর অন্যতম সালমান-শাবনূর। জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ সিনেমায় একত্রে প্রথম কাজ করেন দুজন। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। ক্যারিয়ারের ২৭টি সিনেমার ১৪টিতেই সালমানের নায়িকা ছিলেন শাবনূর।

আজ নায়কের ৫৪তম জন্মদিনে ভালোবাসা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন শাবনূর। শোনা যায়, তাদের মধ্যে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। নায়কের জীবদ্দশায় সত্যিই কি প্রেম ছিল দুজনার? কাজের সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে-এমনটাই জানিয়েছিল পিবিআই। স্ত্রী সামিরার উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানিয়েছিল, শাবনূরের সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আর সালমান তাকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালের ওই ব্রিফিং-এ জানানো হয়, সালমানের আত্মহত্যার আগের দিন তার ডাবিং দেখতে এফডিসিতে গিয়েছিলেন সামিরা। ডাবিং রুমে শাবনূর ও সালমানকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেন তিনি। এতে সামিরা রাগ করে বের হয়ে যান। ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, সামিরা শুটিংর ফ্লোর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সালমান ও বাদল খন্দকার বাসায় চলে আসেন। বেশ কয়েকবার শাবনূর সালমানের বাসায় ফোন করেন শাবনূর।

সালমান শাবনূরকে বলেন, ‘তুমি আর কখনও আমাকে ফোন করবে না।’ এছাড়া সালমানের বাসায় প্রাই নাকি আসতেন শাবনূর। আত্মহত্যার আগে সালমান শাবনূরের উপহার দেয়া টেবিল ফ্যান ভেঙে ফেলেন সালমান। সালমানকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছে পিবিআই। তবে শাবনূর এসব কথা একেবারে অস্বীকার করেছেন। তিনি ২০২০ সালেই বলেছেন, ‘‘প্রেম নয়, সালমানের সঙ্গে আমার ভাই বোনের সম্পর্ক ছিল। সালমানের নিজের ছোট বোন ছিল না, তাই আমাকে ছোট বোনের মতোই দেখতেন। এটাও ঠিক, সালমান শাহ আর আমাকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু এসবের কোনোটিই সত্য নয়। ছোট বোন হিসেবে আমাকে তিনি আমাকে ‘পিচ্চি’ বলে ডাকতেন।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সালমানের মা-বাবাও আমাকে আদর করতেন। সালমানের কারণে আমাকে তাদের মেয়ের মতোই দেখতেন। সালমান খুব আন্তরিক আর কাজপাগল ছিলেন। আমাদের দুজনের বোঝাপড়াটা ছিল চমৎকার। বলতে পারেন, একে অন্যের চোখের ইশারা বুঝতে পারতাম।’ ৫ বছর পরেও শাবনূর একই কথা বলছেন। তিনি বলছেন সালমান তাকে ছোট বোনের মতো দেখতেন। কদিন আগেও শাবনূর ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে বলেছেন, ‘সালমান শাহর অকাল মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। আমাদের জুটির সাফল্য একসময় অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। তাঁর মৃত্যুর পর কেউ কেউ হয়তোবা নিজেদের বাঁচাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকতে পারে। আমাদের নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে, যা আমাকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে আঘাত করেছে।’




Archives
Image
৭ দাবি না মানলে শনিবার থেকে মুরগি ও ডিম উৎপাদন বন্ধ : বিপিএ
Image
নির্বাচন ঘিরে নতুন করে ডিসি নিয়োগের উদ্যোগ, ফিট লিস্ট তৈরি শুরু
Image
দেশের তিনটি বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস
Image
বরিশালের প্রতিভাবান কন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীতে দেশসেরা প্রিয়ন্তী পোদ্দার
Image
বরিশালে অপসো স্যালাইনে শ্রমিক ছাঁটাই, প্রতিবাদে কর্মবিরতি