|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে
বরিশালে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৩০
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৩ জনকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ‘বিআইটি’ মডেলে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠা গঠনের একদফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসের বাইরে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অবস্থান নেন। দুপুর ২টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করে এবং অবরোধ তুলে দেয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে নারী পুলিশ থাকলেও ছাত্রীদের ওপর পুরুষ পুলিশ সদস্যরাই হামলা চালিয়েছে। তবে বিএমপি’র দায়িত্বশীল একটি সূত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে ক্যাম্পাসে কিছুটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করলেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএমপি’র ডিসি (দক্ষিণ) গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা মামলা করা হয়নি। তিনি বলেন, সকাল থেকে জাতীয় মহাসড়ক অবরোধের কারণে তিনটি বিভাগের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পুলিশ ও প্রশাসন অনেক ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বরিশাল, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ২০ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত সোমবার বরিশাল মহানগরীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও শিক্ষার্থীরা বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংলগ্ন বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। দুপুর ৩টা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে।এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি জানান, আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যাতে তারা সড়ক ছেড়ে দেয়। বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বৈত শাসন থেকে মুক্ত হয়ে বিআইটি আদলে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছি। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত তিনটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, দাবি না মানলে আমাদের আন্দোলন চলবে, আরও কঠোর হবে।
Post Views: ০
|
|