Current Bangladesh Time
সোমবার জুন ২৩, ২০২৫ ১১:৩২ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » মাজার ছেড়ে পরিবারে ফিরলেন আলোচিত নাট্যকার সমু চৌধুরী 
Friday June 13, 2025 , 3:51 pm
Print this E-mail this

ব্রক্ষপুত্র নদে গোসল করে গামছা পড়ে গাছতলায় গামছা পড়ে শুয়ে ছিলেন

মাজার ছেড়ে পরিবারে ফিরলেন আলোচিত নাট্যকার সমু চৌধুরী


মুক্তখবর বিনোদন ডেস্ক : অবশেষে মাজারকাণ্ডে আলোচিত নাট্যকার সমু চৌধুরী ফিরে গেলেন পরিবারের কাছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ তাকে তার পরিবারের হস্তান্তর করে। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সমু চৌধুরীকে তার খালাত ভাই মো. অপু চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেছি। এসময় অভিনয়শিল্পী সংঘের কয়েকজন তার সঙ্গে ছিলেন। এর আগে বুধবার (১১ জুন) রাত ৯টার দিকে ঢাকা থেকে এক মোটরসাইকেল রাইডারের মাধ্যমে উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারে আসেন সমু চৌধুরী। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মাজারের পাশে একটি গাছের নিচে পাটি বিছিয়ে সমু চৌধুরীর শুয়ে থাকার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে প্রথমে খালি গায়ে ও গামছাপরিহিত অবস্থায় তাকে দেখা যায়। পরে অবশ্য ট্রাউজার ও গেঞ্জি পরা অবস্থায় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সামনে তাকে কথা বলতে শোনা যায়। এদিকে সমু চৌধুরীকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে সেখানে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকেল গাড়িয়ে সন্ধ্যা হলে পুলিশের অনুরোধেও থানায় যাননি সমু চৌধুরী। সন্ধ্যার পর লোকজন আরও বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের পাশাপাশি মাজার প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী অবস্থান নেয়। এসময় সমু চৌধুরী জানান, তিনি সুস্থ আছেন। সারা রাত মাজারে ধ্যানে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে একা একা হাঁটতে হাঁটতে পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রক্ষপুত্র নদে গোসল করেছেন। গোসল করে গামছা পড়ে গাছতলায় শুয়ে ছিলেন। এর মধ্যে কে বা কারা ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। সমু চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, “এটা খুবই লজ্জাজনক। আমি ভোরবেলা নামাজ পড়ে, নদীতে গোসল করে ওখানে ঘুমিয়েছিলাম। আমি এক কাপড়ে এখানে এসেছি।” এরই মধ্যে সমু চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এনএম আবদুল্লাহ আল-মামুন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। এ সময় সমু চৌধুরী জানান, তিনি এর আগেও এই মাজারে আরও তিন-চারবার এসেছিলেন। তিনি মুখী শাহ্ মিসকিনের ভক্ত। এছাড়াও সমু চৌধুরী অন্য সব কথাবার্তাও ঠিকঠাক বলার পর রাতে চিকিৎসক জানিয়ে দেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন। তবে সমু চৌধুরীকে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

মার সাথে সমু চৌধুরী

নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশন নাটকে দর্শক মাতিয়েছিলেন এই মঞ্চ অভিনেতা। মাঝে অভিমান করে অভিনয় ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যশোরে চলে গিয়েছিলেন। পরে শিল্পী ঐক্য জোটের মাধ্যমে আবারও অভিনয়ে ফিরে আসেন। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সমু চৌধুরী। ১৯৯৫ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘আদরের সন্তান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর ‘দোলন চাঁপা’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘দেশ দরদী’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘যাবি কই’, ‘সুন্দরী বধূসহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন।ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারে যাওয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে সমু চৌধুরী বলেন, “আমি যশোরে ছিলাম, যশোর থেকে ফিরে আসার পরই হঠাৎ ছোট ভাইরা বলছিল, মিসকিন শাহে যাবেন নাকি! আমি বললাম, এটা কোথায়? পরে মনে পড়ল, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তারপর আমি তাদের সঙ্গে আসি।” “সারাদিন আড্ডা মেরেছি, এখানকার যে কুতুবরা আছেন, যারা খাদেম আছেন, যারা পাগল আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছি, আড্ডা দিয়েছি। আমার জীবনের সঙ্গে, তাদের জীবনের মিল খুঁজছি, নাটক খুঁজছি।” বলেন সমু চৌধুরী। ছবি ছড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সমু চৌধুরী বলেন, “আমি বুঝলাম না এতে তোদের কী?  তোরা আউলিয়া বুঝিস না, পাগল বুঝিস না, একটা ছবি তুলে দিয়ে দিলি, এটা তো ভাইরাল হয়ে গেছে।” সমু চৌধুরীর বাবা, ভাই-বোন কেউ নেই। এ তথ্য জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমার বন্ধুরা যারা ছবিটি দেখেছে। এটা তো তাদের কলিজায় লেগে যায়। কেউ গাড়ি পাঠায়ে দিচ্ছে। শিল্পী সংঘ থেকে ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে, দাদা তুমি ওখানে থাকো। শান্তিদি আমাকে ফোন দিয়ে বলছে, তুমি ওখানে থাকো; আমি গাড়ি পাঠায়ে দিচ্ছি। তুমি ওখান থেকে নড়বা না, আমি বললাম তোরা কী শুরু করেছিস? আমার স্বাধীনতা নাই? আমার বয়স ৬১। আমার বাবা, ভাই, বোন কেউ নাই, আমার একমাত্র মা আছে।”




Archives
Image
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের প্লট ক্রোক
Image
ইভ্যালির রাসেলের ৩ মাসের কারাদণ্ড
Image
নিবন্ধন আবেদনে তিন প্রতীক এনসিপির, পেতে চায় ‘শাপলা’
Image
ইলেকট্রিক সিগারেটের চালান আটক বিমানবন্দরে
Image
বরিশালের পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ