|
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই ব্যান্ড তারকা
কবে দেশে আসছে শাফিন আহমেদের মরদেহ?
মুক্তখবর বিনোদন ডেস্ক : গত ২৫ জুলাই সকালেই আসে সংবাদটি। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। সেখানে ২০ জুলাই একটি কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল এই শিল্পীর। তবে তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শেষমেশ চলে যান না ফেরার দেশে। মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তাঁর এই প্রস্থানে শোকাহত সংগীতাঙ্গন। তাঁর মৃত্যুর খবর এলেই জানা গিয়েছিল, তাঁর মরদেহ আনতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন তাঁর ভাই হামিন আহমেদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয়নি। জানা গেছে, শাফিন আহমেদ অসুস্থ হওয়ার পরই তাঁর স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। মৃত্যুর খবর শোনার পর বড় ভাই হামিন আহমেদেরও দেশটিতে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিবারিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে থাকা স্বজন ও বন্ধুদের সিদ্ধান্তে তার যাওয়া হয়নি। এদিকে আজ শনিবার বিকেলে হামিন গণমাধ্যমকে জানান, ২৯ জুলাই বিকেলে শাফিনের মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। শাফিনের মরদেহ বহনকারী উড়োজাহাজ ২৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। ৩০ জুলাই দুপুরে গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে সমাহিত করা হবে শাফিনকে। পাশে তাঁর মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবর রয়েছে। ১৯৭৪ সালে মারা গেছেন শাফিনের বাবা কমল দাশগুপ্ত। উল্লেখ্য, শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত। শাফিন আহমেদের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা…এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি। শাফিন আহমেদ তাঁর বাবা কমল দাশগুপ্তের কিছু গান নিয়েও একক অ্যালবাম করেছিলেন। মাঝখানে কিছুদিন রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েও আলোচনা সৃষ্টি করেছেন। শাফিন আহমেদ স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।
Post Views: ০
|
|