মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিআরটিসি-৬ (ভাড়ায় চালিত) বাস চালককে হাতুড়ি দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আল মামুন সোহেলের বিরুদ্ধে। তিনি সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদের ভাতিজা। বৃহস্পতিবার (নভেম্বর ১৬) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে বরিশাল নগরীর সাগরদীতে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিআরটিসি-৬ এর বাস চালক রফিকুল ইসলাম বর্তমানে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর সাগরদী এলাকায় জ্যামে আটক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিআরটিসি বাসটি। এসময় সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০ টার দিকে আল মামুন সোহেল মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় বিআরটিসি-৬ বাসের চালকের হাতে হাতুরি দিয়ে বারি দেয়। তাদের মোটরসাইকেল বহরে কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন। পরে কোন কিছু বোঝার আগেই সোহেল তার সঙ্গীরা বাসের ভিতর ঢুকে পড়ে বাস চালককে চড় থাপ্পড় দেন বলে জানান বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সোহল ও তার সঙ্গীরা। এ বিষয়ে আহত চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে রওয়ানা হয়ে পথিমধ্যে সাগরদি এলাকায় অন্যান্য পরিবহনের সাথে জ্যামেআটকা পড়ি। পাশ থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে কাউন্সিলর সুলতান মহমুদের গাড়িও যাইতেছিলো। আমি ডান দিকে মোড় নিতেই কে যেন জানালা দিয়ে আমার হাতে বারি দিয়েছে। এরপর সুলতান মিয়ার ভাতিজা আমার মারতে গাড়িতে উঠে আসে। পরে শিক্ষার্থীরা সবাই এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি কিছুই জানি না। কিন্তু ঘটনাস্থলে সে উপস্থিত ছিলেন বললে তিনি বলেন, যে বারি দিয়েছে সে আমাদের কেউ না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চালক ডানে মোড় দিলে আমি পড়ে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বাস চালক সে আমার ভাইর ছেলে আমাদের আত্মীয়। বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাস যাচ্ছিলো। ঐখানে কিছু মোটরসাইকেল আরোহী ড্রাইভারের গায়ে হাত দিয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি তারা অন্যায়ভাবে মেরেছে। আমরা পুলিশের সাথে কথা বলেছি। রাতে বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি থানায় বসবো। অন্যথায় আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিবো।