Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার মে ৭, ২০২৪ ৮:২৯ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » উৎকণ্ঠায় বরিশাল ব্রজমোহনের ২৫০ ছাত্রী, খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা 
Tuesday November 16, 2021 , 7:58 pm
Print this E-mail this

উৎকণ্ঠায় বরিশাল ব্রজমোহনের ২৫০ ছাত্রী, খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন কলেজের বনমালী গাঙ্গুলি ছাত্রীনিবাসের একটি ভবন এক দশক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে-এমন একটি কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক। তবে এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক কোনো কাগজ নেই। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করা চারতলা সেই ভবনটির একাধিক পিলারে এখন দেখা দিয়েছে ফাটল। বিভিন্ন কক্ষে প্রায় প্রতিদিনই ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বনমালী গাঙ্গুলি ছাত্রীনিবাসের কুহেলী ১ নম্বর ভবনে এমন ঝুঁকির মধ্যেই বসবাস করছেন আড়াই’শ ছাত্রী। যেকোনো সময় এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। জানা যায়, বনমালী গাঙ্গুলি ছাত্রীনিবাস স্থাপনের বছর ১৯৮৮ সালেই কুহেলী ১ নম্বর ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এটিই এই ছাত্রীনিবাসের সব থেকে পুরোনো ভবন। এখানে ২০০ থেকে ২৫০ আসন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভবনটি ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৌখিকভাবে অনেক আগেই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে কাজ চালিয়ে নিতে চাইছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে কিছু ছাত্রীকে নতুন নির্মিত আমেনা ভবনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও বাকিরা রয়েছেন শঙ্কায়। কুহেলী ১ নম্বর ভবনের আবাসিক ছাত্রী পূজা মিত্র বলেন, ‘করোনার কারণে কলেজ বন্ধ হওয়ার আগে থেকেই এই ভবনের নানা স্থান ভেঙে পড়তে শুরু করে। রুমের মধ্যে পলেস্তারা ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। আমি নিজেই একদিন রুম থেকে বের হওয়ার পরপরই টেবিলের ওপর বড় একটি খণ্ড ভেঙে পড়ে। এর মধ্যে বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না।’ কান্তা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই ভবনটি শুনেছি ১২-১৩ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও কেন এখানে আমাদের রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় এখানে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ভবনের যে বাথরুমগুলো রয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ওপর থেকে ময়লা পানি পড়ে। লক নেই একটারও। বেসিং ব্যবহারের অনুপযোগী। বলা যায় জোর করে আমাদের এখানে রাখা হচ্ছে। আমরা নতুন ভবনে যেতে চাই। প্রায় প্রতিদিনই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কীভাবে থাকা সম্ভব।’ দ্বিতীয় তলার আবাসিক ছাত্রী প্রণতি বিশ্বাস বলেন, ‘শুধু পলেস্তারাই খসে পড়ছে না। বেশির ভাগ পিলারে ফাটল রয়েছে। সিঁড়ি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া বেলকনিতে যে আমাদের হাঁটাহাঁটির জায়গা, সেখানকার পলেস্তারাও খসে পড়ছে। ‘আমার বিছানার ওপরেও এমন অবস্থা, পাশে আবার রডও বের হয়ে গেছে। এগুলো যদি মাথার ওপরে পড়ে, তাহলে কেমন অবস্থা হবে? কেউ থাকতে চাচ্ছে না। নতুন ভবনের যদি হলরুমেও আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে তাতে সমস্যা নেই, তবুও এই অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে চাচ্ছি না।’ ছাত্রীনিবাসের সুপার মোহাম্মদ মুহিত জানান, কুহেলী ১ নম্বর ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষগুলো থেকে ছাত্রীদের সরিয়ে সম্প্রতি নির্মিত আমেনা ভবনে নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘সবাই তো নতুন ভবনে যেতে চায়, তার মধ্যে যারা সিনিয়র ছাত্রী রয়েছে, তাদের আগে নেয়া হবে। আমরাও মুখে মুখে শুনেছি, এই ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তবে কোনো কাগজপত্র পাইনি। ‘অধ্যক্ষ স্যারকে জানিয়েছি, তিনি প্রকৌশলী এনে ভবনটি দেখাবেন। যদি এই ভবন সংস্কার করে ঠিক করা যায় তাহলে কাজ করা হবে, না হলে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছি।’ সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া জানান, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হলের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। তাই কলেজের তহবিল ফান্ড থেকে কুহেলী ১ নম্বর ভবনের সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। অনেক ছাত্রীকে তারা নতুন ভবনে পাঠানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভবনের বিষয়টি শিক্ষা প্রকৌশলকে লিখিতভাবে তারা জানাবেন।




Archives
Image
বরিশালে ভোক্তার অভিযান, ৯ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
Image
উপজেলা নির্বাচন : বরিশালে ভোট সামগ্রী বিতরণ
Image
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
Image
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট শুরু
Image
ভোলার লালমোহন থেকে ৭ বছর বয়সী অপহৃত শিশু উদ্ধার