প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » ভুল চিকিৎসায় তরুণী মৃত্যু, অবশেষে রয়েল সিটি হাসপাতালের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা!
Friday May 1, 2020 , 8:12 pm
এই ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, প্রাণবিয়োয়ের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে
ভুল চিকিৎসায় তরুণী মৃত্যু, অবশেষে রয়েল সিটি হাসপাতালের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ভুল চিকিৎসায় তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় অনেক নাটকীয়তা শেষে বরিশাল শহরের ‘রয়েল সিটি হাসপাতাল’র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা নিল কোতয়ালি পুলিশ। এই মামলায় হাসপাতাল মালিক কাজী আফরোজা ও স্বামী ডা. রফিকুল ইসলাম বারীসহ অন্তত সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে আরও তিনজন রয়েছেন বরিশাল শহরের পরিচিত মুখ প্রসূতি ও মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তানিয়া আফরোজ ও তার স্বামী সার্জন মনিরুল আহসান এবং রয়েল সিটির চিকিৎসক সজিব। গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ওই হাসপাতালে অপারেশন করার প্রাক্কালে সৌদি প্রবাসী সোনিয়া আক্তারের মৃত্যুর পরে স্বজনেরা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে চারদিনের মাথায় মামলাটি বৃহস্পতিবার রাতে এজাহারভুক্ত হয়। সূত্রের খবর হচ্ছে, ঝালকাঠি জেলা সদরের বিনয়কাঠি ইউনিয়নের কালাম হাওলাদারের মেয়ে সোনিয়া প্রসূতি ও মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তানিয়া আফরোজের তত্ত্বাবধায়নে গত ২০ মার্চ ব্রাউন কম্পাউন্ড রোডের ‘রয়েল সিটি হাসপাতালে’ একটি কণ্যাসন্তান জন্ম দেন। দুদিন বাদে বাড়ি ফিলে গেলে কয়েক দিন পরে বিশর্ধ্বো তরুণীর পেটে অপারেশনস্থলে ব্যথা হলে তিনি ফের চিকিৎকের দ্বারস্থ হন। তখন তানিয়া আফরোজ তাকে পুনরায় অপারেশনের পরামর্শ দিয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। তরুণী ফের ২৩ এপ্রিল রয়েল সিটিতে ভর্তি হলে তিনদিন পরে ২৭ এপ্রিল সকালে তাকে ডাক্তার তানিয়া আফরোজের অনপুস্থিতে হাসপাতাল মালিক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বারী, মনিরুল ইসলাম ও সজিবসহ অপারেশনের জন্য নিয়ে যান। অনেক অপেক্ষার পরে ৬ ঘণ্টার মাথায় বেলা দুইটার দিকে তরুণীকে অচেতন অবস্থায় বের করে দ্রুত শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু সেখানে নেওয়ার পরে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেয় অন্তত এক ঘণ্টা আগে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ স্বজনেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকে ওপর চড়াও হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। নিহতের পরিবার জানায়, ঘটনার পরে পুলিশ মামলা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে গড়িমসি করে এবং বিভিন্ন মহল থেকে মীমাংসার প্রস্তাব আসে। এমননি প্রথমে দেওয়া একটি অভিযোগ ওসির মনপুত না হওয়ায় তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং মামলা না করতে মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করাও হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন জানান, ইতিমধ্যে তিনি তদন্তভার বুঝে নিয়েছেন। কিন্তু তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে।এদিকে রয়েল হাসপাতালে তরুণী মৃত্যুর এই ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের পক্ষ থেকে প্রাণবিয়োয়ের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই তথ্য বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার বাসুদেব কুমার নিশ্চিত করেন। কিন্তু তদন্ত শেষ না করে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।