Current Bangladesh Time
শনিবার মে ৪, ২০২৪ ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » সর্দি-কাশি থেকে প্রতিকারের উপায় 
Thursday November 14, 2019 , 11:59 am
Print this E-mail this

সর্দি-কাশি থেকে প্রতিকারের উপায়


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : শীত শুরু হয়েছে। এ সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা থাকে। তবে শীতের শুরুতে সর্দি-কাশির সংক্রমণের হার বেশি। কেননা শীতের শুরুতে ঠাণ্ডার তীব্রতা কম থাকায় অনেকে উপেক্ষা করে থাকেন। তখন শুরু হয়ে যায় সর্দি-কাশি। এ থেকে বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমে। এর চিকিৎসা সময় মতো না করালে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রে। সর্দি-কাশিতে পড়লে দোকান থেকে কড়া ওষুধ বা সিরাপ কিনে খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকের। এটা কিন্তু ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শেই ওষুধ খাওয়া উচিত। তবে এমন কিছু জিনিস আছে যা খেলে সর্দি-কাশিতে যেমন উপকার পাওয়া যায়, তেমনি এগুলো সর্দি-কাশিতে পড়তেও দেয় না। শীতের শুরুতে এগুলো নিয়মিত খেতে পারলে সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকা যাবে।

জেনে নিন সর্দি-কাশি কিভাবে নিজেকে প্রতিকার করবেন…

১. গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে ব্যবহার করা যায় আদা চা। ২ কাপ পানিতে কিছুটা আদার কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই গলার খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা-মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।

২. চায়ের পরিবর্তে উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ পানের অভ্যাস করুন। এ ছাড়া গ্রিন-টি পানের অভ্যাস করতে পারেন। উপকৃত হবেন।

৩. কলা একটি নন-অ্যাসিডিক খাবার যা গলার খুসখুসে ভাব কমাতে খুবই কার্যকরী! এ ছাড়াও কলা একটি লো-গ্লাইসেমিক খাবার যা ঠান্ডা লাগা বা সর্দি ভাব দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।

৪. প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু হচ্ছে উচ্চ ওষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্বাসনালীর নানা সমস্যা দূরে রাখবে এবং সেই সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যাও।

৫. গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই কারণেই চট করে সর্দি-কাশির মতো রোগগুলো শরীরকে কাবু করতে পারে না। তবে ঠাণ্ডা লাগলে কাঁচা গাজর না খেয়ে সেদ্ধ করেই খাওয়া উচিত।

৬. সর্দি-কাশির সমস্যার কারণে যদি আপনার নাক বন্ধ থাকে তাহলে একটি কাজ করুন। সামান্য উষ্ণ গরম লবণ পানি নাক দিয়ে টানার অভ্যাস করুন। নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন। এতে জমে থাকা মিউকাস সহজেই বের হয়ে যাবে এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও দ্রুত কমে যাবে।

৭. সর্দি-কাশির সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে আসে। শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে গেলে সেটা ধীরে ধীরে বের হয়ে যায় নিজে থেকেই। তাই সর্দি-কাশির সমস্যায় সারাদিনে প্রচুর পানি পান করতে থাকুন।

৮. এক চামচ পাতিলেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধুর মিশ্রণ দিনে দু’বার করে খেয়ে দেখুন। এই মিশ্রণ গলার ভেতরের সংক্রমণ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।

৯. সর্দি-কাশির সমস্যায় গরম পানির ভাপ বা সেঁক নেওয়া একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। গরম পানির ভাপ নিলে সহজেই নাক দিয়ে শ্লেষ্মা বের হয়ে আসবে। তাই গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নিয়ে দিনে দু’বার করে ভাপ নিন।




Archives
Image
পদত্যাগ করে দুধ দিয়ে গোসল বিএনপি নেতার
Image
তাসকিন-মেহেদীদের তোপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে
Image
কুয়াকাটায় পানি ও স্যালাইন হাতে পর্যটক-তৃষ্ণার্তদের পাশে ছাত্রলীগ
Image
বরিশালে কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৫
Image
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল পুলিশ কর্মকর্তার