|
সুখী মানুষের খোঁজে – মোছা. খালেদা খাতুন রেখা, ইউএনও, কাউখালী পিরোজপুর
তথ্য সংগ্রহ – মো: সজিব হোসেন ফরাজী :
ছোট বেলায় পড়েছিলাম
“সুখী মানুষের খোঁজে ”
প্রতি মুহুর্তেই নানান বিষয় বিশেষ করে করোনা নিয়ে ব্যস্ততা চলছে। সকালে ঘুম ভাঁঙে গেটের শব্দে। আমরা কিছু পাই নাই। অমুকের এই আছে সেই আছে তারপরও আবার পাইছে আমি কিছু পাই না। এরপর যেখানে যাই শুধু ত্রাণ আর ত্রাণ। একজন বলছে আপনি নাকি এত ভাল তাহলে আমাদের কিছু দেন না কেন?
একদিন গাড়ির পাশে এসে একজন বলতে শুরু করল স্যার চেয়ারম্যান, মেম্বার আমাকে কিছু দেয় না। আমি বললাম – ঠিক আছে আমি কথা বলি। আপনি যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পাবেন। ফোন ধরতেই উধাও। এমন কেউ নাই যে একবার বলেছে আমি কিছু পেয়েছি। সরকারের এত এত বরাদ্দ তারপরও সমালোচনা আর সমালোচনা। শুধু কিছু পাই নাই পাই নাই।
তবে কাজের ফাঁকে দুজন মানুষ পেলাম যাদের কিছু লাগবে না।। যদিও তারা থাকছে দোকানের বারান্দায়। নেই ঘর, নেই বাড়ি, নেই অট্টালিকা, প্রাসাদ। নেই কোন ব্যাংক ব্যালেন্স।। হয়ত একবার খাওয়ার পরের বারের নিশ্চয়তা নাই। তারপর আমাদের আছে আর লাগবেনা। কথায় আছে পেটের ক্ষুধা না মনের ক্ষুধা। আবার কথায় আছে পেট ভরলেও চোখ ভরে নাই।
আপনার জমি নাই জমি পেলেন। ঘর নাই ঘর পেলেন। বাড়িতে খাবার থাকুক বা না থাকুক সরকার খাবারের ব্যবস্থা করল। ছেলে মেয়ের স্কুলের বেতন দিতে হচ্ছে না। বেতন মওকুফ। স্কুলের জামা, জুতা, ব্যাগ নাই খাতা, কলম নাই সরকারিভাবে পেলেন। আপনার সন্তান কি খাবে স্কুলে তাও ব্যবস্থা হলো। আপনার বয়স বাড়ল বয়স্কভাতা, বিধবা হলেন ভাতা পেলেন। আরও কত কি?
দুজন পরিতৃপ্ত মানুষকে খুঁজে পেয়েছি বলে ভাল লাগছে। আসলে আমাদের সহনশীলতা প্রয়োজন। কতটুকু প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে হবে নিজেকেই।
শুধু চাওয়া আর চাওয়া। পাওয়ার খাতাটি খুলতে চাই না একবারও। খুব কাছের মানুষটি আমাকে প্রথম থেকেই শিখাতে সক্ষম হয়েছেন তুমি কি পেয়েছো সে হিসেব না করে কি দিতে পেরেছো সেই হিসেব করো। তাহলে দেখবে চাওয়া পাওয়ার দ্বন্দ্ব তোমাকে তাঁড়াবে না।।
এই দুজন মানুষ তাদের সুখ খুঁজে পেয়েছে। আমিও পেয়েছি তাদের কথায় স্বস্তি। কাজের একটা ভাল লাগার স্থান।
ভাল থাকাটা একান্তই নিজের। একটা কিছু করার ইচ্ছে থেকেই তাদের জন্য শাড়ি, লুংগি, গেঞ্জি, গামছা, মশারী কিনলাম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভাল রাখুন।
সূত্র : ফেইসবুক – ইউএনও কাউখালী পিরোজপুর’র কল্যাণে
Post Views:
২৯৬
|
|