করোনা ভাইরাসের কারণে বরিশালের সার্জিক্যাল দোকানগুলো মাস্ক শূন্য
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু, চিকিৎসক-কর্মচারি সংকট!
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন বর্ধিত ভবনে ১২৫ শয্যার করোনা ইউনিট চালুর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে নতুন এই ইউনিটে চিকিৎসক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকটের কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক। এদিকে সম্ভাব্য করোনা থেকে রক্ষা পেতে বরিশালে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। এ কারণে বরিশালের সার্জিক্যাল দোকানগুলো মাস্ক শূন্য হয়ে পড়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কিছুদিন আগেই হাসপাতালের মূল ভবনে ৫ শয্যার করোনা ইউনিট স্থাপন করে কর্তৃপক্ষ। নতুন করে করোনা ইউনিট আইসোলেটেড করার নির্দেশনা আসায় পুরনো ভবন থেকে করোনা ইউনিট সোমবার বেলা ১২টায় নতুন বর্ধিত ভবনে স্থানান্তর করা হয়। ইতিমধ্যে নতুন ওই ইউনিটে স্থাপন করা হয়েছে ভেল্টিলেশন মেশিনসহ যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক। প্রস্তুুত রাখা হয়েছে ৩০ জনের একটি নার্স টিম। হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: বাকির হোসেন জানান, নতুন ভবনে আড়াই শ’ শয্যা করার মতো স্থান রয়েছে। তবে আপাতত ১২৫টি শয্যা স্থাপন করা হচ্ছে। করোনা ইউনিটের জন্য স্থান এবং চিকিৎসা সামগ্রী থাকলেও চিকিৎসক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির তীব্র জনবল সংকট রয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরনো ৫শ’ শয্যার জনবল কাঠামো অনুযায়ী এই হাসপাতালে ২২৪টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৯৭ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৪২৬ জন কর্মচারির বিপরীতে আছেন ৩০২জন। এদিকে সম্ভাব্য করোনা থেকে রক্ষা পেতে বরিশালে মাস্ক এবং হ্যান্ডওয়াশের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে সার্জিক্যাল দোকানগুলোতে মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানে মাস্ক নেই বললেই চলে। নগরীর বগুড়া রোডের বরিশাল সার্জিক্যালের রতন চক্রবর্তী জানান, করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই মাস্কের ব্যবহার বেড়ে যায়। ইদানিং মাস্কের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। ঢাকার মোকামে চাহিদাপত্র দিয়েও মাস্ক পাচ্ছেন না তারা। এ কারণে আপাতত মাস্ক নেই। বরিশালে ৮টি সার্জিক্যাল দোকান রয়েছে। অথচ এর কোনটিতেই মাস্ক নেই বলে জানা গেছে।আবার একদল অসাধু ব্যবসায়ী বেশ চড়া দামে মাস্ক বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।