|
কেউ যদি দায়িত্বে অবহেলা করে খোলা জায়গা এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ন বর্জ্য ফেলে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে
বরিশাল শেবাচিমে রাস্তার পাশে করোনা ইউনিটের বর্জ্য, আক্রান্তের ঝুঁকিতে স্থানীয়রা!
এস এম জাহিদ, অতিথি প্রতিবেদক : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে রোগী ও ডাক্তারদের ব্যবহৃত মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ডগ্লাব্স সহ ব্যবহৃত সকল জীবানুযুক্ত জিনিসপত্র হাসপাতালের নিকটস্থ প্রধান সড়কের পাশে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাধারণ রোগীদের ও জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবে হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা একটি কোভিড (১৯) ইউনিট সাথে সাথে ব্যপক সতর্ক রয়েছেন চিকিৎসকগন। প্রাাণঘাতি এই ভাইরাস চীন, ইতালি, আমেরিকার মতো উন্নত রাষ্ট্রে ভয়বহ রূপ নিয়েছে। এজন্য রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে বাংলাদেশেও। এর অংশ হিসেবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর তাই সর্বোচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ইউনিট। যা পূর্বে হোয়াই ফ্লর ইউনিট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। গতকয়েক দিন যাবৎ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এর আগে নোভেল করোনো ভাইরাসের জন্য সতকর্তা হিসেবে করনীয় বিষয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরিশাল সিভিল সার্জন, শেবাচিম ও জেনারেল হাসপাতালে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনলয়ের ওই নির্দেশে হাসপাতালগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এর কার্যকারিতা সম্পূর্ণই ভিন্ন। একের পর এক ঘটে চলছে অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনা। তার উপরে আবার খোলা জায়গায় করোনার বর্জ্য ফেলে সৃষ্টি করছে অসাস্থক্যর পরিবেশের যা থেকে করোনায় আক্রান্ত হতে পারে রাস্তায় চলাচল কারী পথচারীসহ স্থানীয় জনগণ। প্রধান সড়ক থেকে মাত্র ১০-১২ ফুট দুরেই করোনা ইউনিটের গা ঘেষে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে এ সকল ব্যবহৃত জীবাণুযু্ক্ত বর্জ্য। যাতে ঘটতে পারে মারত্মক বিপর্যয়। স্থানীয় এক ঔষধের দোকানদার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা অবহেলা করে এসকল ঝুঁকিপূর্ন দ্রব্যকে খোলা জায়গায় ফেলছে। আমরা এখন নিজেদেরকে নিয়ে চিন্তিত। সঠিকভাবে এগুলো নিষ্কাশন না করলে আমরাও যে কোন সময়ে আক্রান্ত হতে পারি। এ ব্যাপারে শেবাচিমের সহকারী পরিচালক ডা: মনিরুজ্জামান জানান, করোনা ইউনিটে ব্যবহৃত সকল পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাব্সসহ সকল বর্জ্য আগুনে পুড়িয়ে জীবানু মুক্ত করে মাটিচাপা দেয়া হয়। কিন্তু কেউ যদি দায়িত্বে অবহেলা করে খোলা জায়গা এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ন বর্জ্য ফেলে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা।
সূত্র : বরিশাল ক্রাইম নিউজ
Post Views:
১১৩
|
|