নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল শহরের রুপাতলী হাউজিং এলাকার একটি মাদ্রাসায় এক শিশু শিক্ষার্থী বলৎকারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তানযীমুল উম্মাহ হিফজ নামক মাদ্রাসার চতুর্থ তলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্লাস চলাকালীন ওই শিক্ষার্থীকে একটি কক্ষে নিয়ে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা করে শিক্ষক মামুন খান। এসময় শিক্ষার্থীর ডাক-চিৎকারে শিক্ষক ব্যর্থ হয়ে তাকে খোড়া একটি অভিযোগে শারীরিক নির্যাতন করে। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা মাদ্রাসায় ছুটে গেলে প্রতিষ্ঠান পরিচালক মিজানুর রহমান ও অভিযুক্ত শিক্ষক সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে নার্সারি ক্লাসের ওই শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনেরা। ওই শিক্ষার্থীর বাবা হারুন অর রশিদ জানান, রাজধানী ঢাকা থেকে পরিচালিত তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসার বরিশাল শাখার নার্সারি ক্লাসে প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও অংশ নেয় তার ছেলে। ক্লাস চলাকালে সন্ধ্যার দিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে শিক্ষক মামুন খান ছেলে একটি কক্ষে নিয়ে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা করে। এসময় অপরাপর শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হলে ক্লাসে বিশৃঙ্খলা করার খোড়া একটি অজুহাতে তাকে মারধর করে ওই শিক্ষক। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীর মা ছুটে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তাকে প্রতিষ্ঠান পরিচালক অপমান অপদস্ত করেন। পরে তিনি সংবাদকর্মীদের খবর দিলে পরিচালক ও শিক্ষক দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এসময় একাধিকবার ফোন করে অনুরোধ করলেও পরিচালককে ঘটনাস্থলে আসেননি। জানা গেছে, রাতে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্বজনেরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠান পরিচালক মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীকে বলৎকারের চেষ্টা ও মারধরের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। বরং তার দাবি, ক্লাস চলাকালে বিদ্যুৎ চলে গেলে শিক্ষার্থীরা উল্লাস করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসময় শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে একটু শাসন করেছেন মাত্র।