Current Bangladesh Time
বৃহস্পতিবার আগস্ট ১৪, ২০২৫ ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা, ফিরে গেলেন স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক 
Wednesday August 13, 2025 , 10:47 pm
Print this E-mail this

এবার শেবাচিম হাসপাতালে কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম ইন্টার্নদের

বরিশালে অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা, ফিরে গেলেন স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের লক্ষ্যে তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই দফা কথা বলেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: মো: আবু জাফর। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের কথা না শুনলেই কেবল শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙবেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বেলা ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: মো: আবু জাফর শিক্ষার্থীদের অনশনস্থলে আসেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বরিশালের সামাজিক-রাজনৈতিক ও ও সাংবাদিক প্রতিনিধিসহ সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় শেষে সেবাগ্রহীতাদের নিয়ে ফের বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনস্থলে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এক পর্যায় জুস খাইয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করেন অধ্যাপক ডা: মো: আবু জাফর। অনশনকারী শাফিন মাহমুদ বলেন, আমাদের ভাইয়েরা ১৭ দিন ধরে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের তিন দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। আমরাও তিন দিন ধরে অনশন করছি। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এসে যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো সমাধান দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অনশন করব। একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যদি দেশের মানুষের সঠিক চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা হয়, সেই মৃত্যু আমরা মেনে নেব। এদিকে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন রনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আমাদের কোনো প্রতিনিধির বৈঠক হয়নি, তার সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক কোনো কথা হয়নি। তবে তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা না আসা পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমাদের এত সুশৃঙ্খল আন্দোলনের মধ্য দিয়েও কারও টনক নড়াতে পারিনি, তাই শিক্ষার্থীদের সাহসিকতা দেখে আমরাও গণ-অনশনে যাচ্ছি। একইসঙ্গে ব্লকেড কর্মসূচি চলবে।

দেশের সব সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাসেবায় অবহেলা এবং স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনের মধ্যেই শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে। বুধবার (আগস্ট ১৩) দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: মো: আবু জাফরের উপস্থিতিতে হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বরিশালের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক অঙ্গনের প্রতিনিধিসহ সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাত দফা দাবি পেশ করে এ আল্টিমেটাম দেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি নাজমুল হুদা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন যে কারণে হচ্ছে, সে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার আমরাও চাই। তবে সেটি অবশ্যই যৌক্তিক পথে যৌক্তিকভাবে হোক। তবে আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট ভোগান্তি আমরা সাপোর্ট করতে পারছি না। তিনি বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বিকেল ও রাতে সিনিয়র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে রোগীর সেবা দিয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি সময়ে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। যেখানে গত ৩ আগস্ট শিশু বিভাগে দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের ওপর মব তৈরির মাধ্যমে হয়রানির ঘটনা ঘটে এবং ওয়ার্ডে ভাঙচুর করা হয়। এরপর ৬ আগস্ট সার্জারি ইউনিট-৩ এ রোগীর ছাড়পত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার লোকজন চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়। ১০ আগস্ট সার্জারি-২ ইউনিটে ভর্তি না হয়েও জোরপূর্বক চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এভাবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে ৮টি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং নিয়মিত কাজের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং চিকিৎসকরা সঠিকভাবে দায়িত্বপালনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থায় ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। এ দাবিগুলোর বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না পেলে এবং চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা হয়রানির শিকার হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাবে।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো:-

১. কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ২. অ্যাডমিশন এবং পোস্ট অ্যাডমিশন ওয়ার্ডে আনসার সদস্যদের দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ৩. হাসপাতালে দর্শনার্থী প্রবেশ দর্শনার্থী কার্ডের মাধ্যমে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একজন রোগীর সঙ্গে একজন দর্শনার্থী থাকতে পারবে; ৪. হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং ক্যাজুয়ালটি বিভাগকে কার্যকর এবং উন্নত করা; ৫. হাসপাতালের সব পরীক্ষা নিরীক্ষা ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব পরীক্ষা চালু নেই সেগুলো দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা; ৬. হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ৭. হাসপাতালের বেড সংখ্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে বেড সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এদিকে ইন্টার্নদের এমন আল্টিমেটামের হুঁশিয়ারির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: মো: আবু জাফর সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের সেবায় কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন,  সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি সাধনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে, সুতরাং সময় দিতে হবে।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারা দেশে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন নতুন মোড় নিয়েছে। কেননা চলমান এই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থীরা। এমনকি আন্দোলনের নামে কেউ জনভোগান্তির সৃষ্টি করলে তা প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। বুধবার রাতে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ থেকে একটি মশাল মিছিল নিয়ে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গোল চত্বরে গিয়ে এই ঘোষণা দিয়েছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে রাতে সেখানে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনও করেছে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন, কলেজটির ছাত্র ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করবেন এবং মেডিকেলের সকল সিন্ডিকেট এবং দালালদের নির্মূল করতে সক্ষম হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদি এর ব্যাপ্তয় ঘটে আমরা আবারও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো। সাব্বির হোসেন বলেন, বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংকার আন্দোলন বা শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় সংকারের আন্দোলনে বরাবরের মতোই বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা সামনের সারিতে ছিল। সকলের মতামতের ভিত্তিতে দীর্ঘ ১৭ দিন আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের সকলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ একটি প্রতিনিধি দল বরিশালের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা এবং অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে পাঠান। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। বরিশালের সুধীজনদের সাথে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থী ও সুধীজনদের সাথে ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে মহাপরিচালক শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া আশ্বাস দিয়েছেন এবং শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতাল পরিচালক মহোদয় সম্প্রতি কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বাকি দাবিগুলো অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করার আশা ব্যক্ত করেছেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পাঠানো প্রতিনিধি দলের এবং মেডিকেলের পরিচালকের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৩০ কার্য দিবস সময় বেধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করলাম। আগামী দিন থেকে আর জনভেগান্তি হবে না। কেউ যদি জনভোগান্তির সৃষ্টি করে তবে তা সকলে মিলে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন সাব্বির।এদিকে, বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন রনি। বিকেলেই তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে আসার আহ্বান জানিয়ে হাসপাতাল চত্বরে গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাছাড়া আন্দোলন নিয়ে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রাতে হাসপাতালের সামনে মহিউদ্দিন রনির নেতৃত্বে একটি মশাল মিছিরও বের হয়। যদিও বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও এ বিষয়ে রনির বক্তব্য জানা যায়নি। তবে আন্দোলনের নেতৃত্বস্থানে থাকায় কয়েকজন জানিয়েছে, স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। তাদের আহ্বানে অন্যান্য কলেজ শিক্ষার্থীরাও সারা দিয়েছিল। এখন বিএম কলেজই না থাকলে আন্দোলন শেষ পর্যন্ত টিকবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্টরা। প্রসঙ্গত, বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতি বিরুদ্ধে এবং স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে গত ১৭ দিন ধরে বরিশালে আন্দোলন করে আসছে ছাত্র-জনতা। এর মধ্যে গত ৭ দিন ধরে নথুল্লাবাদে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা। এতে সীমাহীন জনদুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষের। চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল বরিশালে আসে। তারা আন্দোলনকারীসহ সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করে দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন।




Archives
Image
বরিশালে অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা, ফিরে গেলেন স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক
Image
প্রয়াত সাংবাদিক তুহিনের এতিম সন্তানদের দায়িত্ব নিলেন এসপি আখতার
Image
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ শেষ, থাকছে ‘না ভোট’ : ইসি
Image
রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
Image
সেবার মান উন্নয়নে হার্ডলাইনে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল প্রশাসন