|
স্টাফ নার্সের বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি-উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ সরকার
বরিশালের বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অশোভনীয় আচারণের অভিযোগ
নূরে আলম, অতিথি প্রতিবেদক : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুগীদের প্রতি চিকিৎসকদের অশোভনীয় আচারণ দেখা গেছে। বুধবার (জুলাই ১৪) দুপুরে ১২টায় গিয়ে দেখা যায় উপজেলার ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল’টিতে চিকিৎসক রয়েছে মাত্র তিন জন ও নার্স রয়েছে পাঁচ জন। এদিকে করোনাকালে হাসপাতালে হুমরি খেয়ে পড়ছে রুগীরা ও টিকা গ্রহণকারীরা। কিন্তু চিকিৎসক ও নার্সদের অশোভনীয় ব্যবহারে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক ও বরিশালের দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকার বাবুগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা পরিচয় না দিয়ে রুগী হিসাবে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে ডাক্তার ও সিনিয়র নার্স নাজমুন নাহার অশোভনীয় আচরণের স্বীকার হতে হয়। পরে হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ সরকারকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর সাধারণ মানুষ ও রুগীরা একের পর এক অভিযোগ তোলেন ডাক্তার ও হাসপাতালের সিনিয়র নার্স নাজমুন নাহার বিরুদ্ধে। করোনা টিকা নিয়েও দেখা গেছে নাজমুন নাহার অনিয়মের চিত্র, সিরিয়ালের তোয়াক্কা না করেই তিনি তার পরিচিত ও স্বজনপ্রীতি করে সিরিয়ালে না দাঁড়ানো ব্যক্তিদের আগে টিকা দিচ্ছে। টিকা নিতে আসা অনেকেই এর প্রতিবাদ করায় শুনতে হয় নাজমুন নাহারের গালমন্দ এবং প্রতিবাদকারীকে টিকা দেওয়া হয় সবার শেষে। এমন আচারণে ব্যহত হচ্ছে উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা। হাসপাতালের একজন স্টাফ জানান, এক্স-রে মেশিন নষ্ট, ইসিজি মেসিন নষ্ট, আল্ট্রসনোগ্রাফি মেশিন নষ্ট। ইমারজেন্সিতে থাকার কথা ডাক্তার ও নার্স কিন্তু নেই একজনও। তাই চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফেরৎ চলে যাচ্ছেন রুগীরা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সরঞ্জাম মেরামতের জন্য টাকা আসলেও, সেগুলো মেরামত না করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কতৃপক্ষ।উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ সরকার অভিযোগের বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সিনিয়র স্টাফ নার্স নাজমুন নাহারের অনিয়ম ও রুগী বা সাংবাদিকের সাথে অশোভনীয় আচারণের বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
Post Views:
২৭২
|
|