|
তাদের ভালো কাজগুলোর জন্য ধন্যবাদ দিন, আর ভুল কাজগুলো ধরিয়ে দিন-বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান
বরিশালের বাবুগঞ্জে মৎস্য অভিযানের জব্দকৃত জাল পাচারকালে তোপের মুখে মৎস্য কর্মকর্তা
নুরে আলম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) সংবাদদাতা : বরিশাল বাবুগঞ্জে মৎস্য অভিযানের আটককৃত জাল পাচারকালে তোপের মুখে বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান। গত ৪ই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ ও রক্ষার অভিযানে নামে মৎস্য বিভাগ। মৎস্য বিভাগের সিদ্ধান্তানুযায়ী সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে ট্যাক্স ফোর্স কমিটি গঠন করা হয়ে এবং সেখানে দায়িত্বরত কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ উপজেলার বেশ কয়েকজন কর্মচারীবৃন্দ। কিন্তু বাবুগঞ্জে অভিযান পরিচালনার শুরুতেই ছিলো উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুজ্জামানের বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ। অভিযোগ ছিলো, গত বছর অভিযানের ৮দিন অভিযান পরিচালনার পর তিনি প্রশিক্ষণে যান এবং তার নির্দেশে গত বছর ট্রলারে মাঝি সোনা মিয়া ও আনোয়ার অভিযানের জব্দকৃত জাল মাছ বিক্রি করেছেন। এবছর মাঝিদের নামে গত বছরের অভিযোগ উঠলেও সোনা মিয়াদের কাছ থেকে টাকা পয়সা খেয়া আবারও তাদেরকে মাঝি হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং মাঝিরা মৎস্য কর্মকর্তার এজেন্ট হিসাবে জেলেদের সাথে কন্টাক করে মা ইলিশ শিকার করাচ্ছেন এবং যে নদীতে ট্রলার অভিযানের জন্য যাওয়া হচ্ছে সেখানেই মৎস্য অফিসের লোক বা ট্রলারের মাঝিরা জেলেদের আগেই ফোনে সর্তক করে দেন। অভিযানের ১০ম দিন বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি অনুপস্থিতিতে বাবুগঞ্জ খেয়াঘাটে জব্দকৃত জাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান পুড়িয়ে নিষ্ক্রিয় করেন।
কিন্তু বিক্রির জন্য জব্দকৃত একটি নতুন ক্যারেন্ট জাল স্পিডবোটে ছালা দিয়ে পেচিয়ে রাখেন। সাংবাদিকরা দেখতে পেয়ে ছবি তুললে তাৎক্ষণিকভাবে তার লোকজন জালটি সরিয়ে ফেলেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তোপের মুখে তিনি বলেন স্পিড বোটে জাল ছিলো কই? পরে মৎস্য কর্মকর্তা স্বীকার করে বলেন, জি বোটে যে জালটা ছিলো আমি পোড়ার জন্য আনিয়েছি, একটি নীল জাল ছিলো। এবিষয়ে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ছোট খাটো বিষয় তার সাথে দেখা করে কথা বলে ভুল ধরিয়ে দিবেন, সেটা না করে তারপও আমার কাছে বলেছেন, আমিও তাকে বিষয়টি তাকে বলবো। মৎস্য কর্মকর্তা স্পিডবোটে থাকা সত্বেও কেন ওই বোটে জাল রয়ে গেলো-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আরোও বলেন, দুই তিনটা নৌকা থাকলে তখন একটা নৌকা আসতে সময় লাগলে হয়তো এজন্য মিসিং হতে পারে বা মাঝিরা উঠায় নায় ওনার অজান্তে এটাও তো হতে পারে। ওনারা ২৪ঘন্টা ডিউটি করে তা নিয়া কোন পজিটিভ নিউজ করেন না। তবে আপনার সাথে কি মৎস্য কর্মকর্তা সাথে বাজাবাজি রয়েছে। আপনি তো তার ভুল ধরার জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন নাতো? সাংবাদিকদের কাছে আমরা কমপ্লেন নয়, তাদের নিয়েই সুন্দর একটা অভিযান পরিচালনা করতে চাই। তবে আপনাদের কাছে রিকুয়েষ্ট, তাদের ভালো কাজগুলোর জন্য ধন্যবাদ দিন, আর ভুল কাজগুলো ধরিয়ে দিন।
Post Views:
২৬৩
|
|