|
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে আল আমিন
বরগুনার আমতলীতে ছেলে সন্তানের মা হলেন ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনা জেলার আমতলীতে শারিরীক প্রতিবন্ধী মহিলাকে (৩৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আল আমিন হাওলাদার (৩৫) বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় ধর্ষণের স্বীকার হওয়া ওই অন্তঃস্বত্ত্বা শারিরীক প্রতিবন্ধী নারী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে, ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই শারিরীক প্রতিবন্ধী মহিলা ১০/১১ বছর বয়সের সময় অসুস্থ হয়ে শরীরের বাম পাশ অকার্যকর হয়ে যায়। সেই থেকে তিনি পঙ্গু জীবন যাপন করে আসছে। ওই নারীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী মহিষডাঙ্গা গ্রামে তার নানা বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই সে একা একা নানা বাড়িতে বসবাসরত মামাতো বোন আমেনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন। এ সময় আমতলী সদর ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রামের আ: মজিদ হাওলাদারের পুত্র মো: আল আমিন হাওলাদার তাকে বেশ কয়েকবার কুপ্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে আল আমিন। ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী সন্তানসম্ভাবা হলে সবাই বিষয়টি জানতে পারে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি অভিযুক্তকে ডেকে ফয়সালা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু ফয়সালা না হওয়ায় গত ১ মে অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদারসহ দু’জনকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এদিকে থানা অভিযোগ আমলে না নিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে প্রাথমিক তদন্ত করার জন্য আমতলী থানার সাব ইন্সেপেক্টর শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধর্ষণের শিকার হয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধী নারী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বর্তমানে মা পুত্র দু’জনেই সুস্থ আছেন বলে জানান সেবিকা রাবেয়া বেগম। থানায় অভিযোগ দাখিল করা প্রতিবন্ধী নারীর বোন জানান, হঠাৎ অন্তঃস্বত্ত্বার লক্ষণ দেখে আমতলী গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানতে পারি আমার বোন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর ভিকটিম বোন ধর্ষণের বিষয়টি আমাদের খুলে বলে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জানাই। থানায় ধর্ষক আল আমিন ও তার সহযোগী আবুল বাশার প্যাদাকে আসামি করে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর পর থেকে অভিযুক্তরা আপোষ মিমাংসার প্রস্তাব দিয়া ঘুরাচ্ছে। অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদার বলেন, আমার ফুপুদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৯ সালে আদালতে বিরোধীয় জমির রায় আমাদের পক্ষে আসায় ও সেই জমি দখলে নেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ধর্ষণের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো: মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, শুনেছি গতকাল সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হওয়া শারিরীক প্রতিবন্ধী ওই মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরী একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। গতমাসে তার বোন বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছিল। যেহেতু ধর্ষণের ঘটনাটি অনেক পুরানো তাই সত্যতা যাচাইয়ে প্রাথমিক তদন্ত করার জন্য সাব ইন্সেপেক্টর শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Post Views: ০
|
|