প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » পুলিশের পেইজে মেসেজ : মেডিকেল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
Thursday April 29, 2021 , 8:09 pm
অল্প সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়
পুলিশের পেইজে মেসেজ : মেডিকেল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকার একটি খ্যাতনামা সরকারি মেডিকেল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় নিজেদের ফেসবুক পেইজে মেসেজ পেয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। দ্রুত এই হয়রানির সমাধান করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন ওই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো: সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ জানায়, ঢাকার একটি খ্যাতনামা সরকারি মেডিকেলে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে এক ছেলের বিয়ের কথা চলছিল পারিবারিকভাবে। ছেলেটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। শিক্ষার্থীকে দেখতেও এসেছিলেন তিনি। দেখতে এসে মেয়েটির ফোন নম্বর নিয়ে যান। কয়েকদিন কথাও হয়। তবে, মেয়েটির তাকে ভাল লাগেনি। তিনি বিয়ের বিষয়ে নারাজি প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন সেই যুবক। তিনি নানাভাবে শিক্ষার্থীকে বিরক্ত করতে থাকেন। ফেইসবুকে তার নামে ফেইক আইডি খুলে সেখানে আজেবাজে লিখতে থাকেন। সেই আইডি দিয়ে তার মেডিকেলের বিভিন্ন গ্রুপে ঢুকে নানা পোস্ট দিতে থাকেন। মেয়েটির আত্মীয় স্বজনদেরও বিরক্ত করতে থাকেন। তার এই হয়রানির কারণে সেই ছাত্রী কোনোভাবেই পড়াশোনা করতে পারছেন না। ভীষণ মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল তাকে। তার পরিবারও অতিষ্ঠ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তিনি পুলিশের সহযোগিতা চান। বিষয়টি জানিয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে বার্তা পাঠান শিক্ষার্থী। পুলিশ জানায়, বার্তা পাওয়ার পরপরই মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাঈনুল ইসলামকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশি, ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবীরকে নির্দেশনা দেয় এ বিষয়টি তদারকি করতে। উভয়ের তদারকি ও ওসির প্রত্যক্ষ উদ্যোগে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সেদিন মেয়েটি ও তার পরিবারকে থানায় আসার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। মেয়েটির অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে চিন্তামুক্ত হন শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে পরবর্তীতে তিনি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেন, ‘The officers were so helpful. ir. I am really feeling fearless now. Thank you so much. I just can’t ever describe my thankfulness towards Bangladesh Police. Thanks again for giving girls like us the courage to take steps.”