প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » পটুয়াখালীর বাউফলে মহিলা মেম্বরের শ্লীলতাহাণী ও সাংবাদিক নির্যাতন
Tuesday June 18, 2019 , 8:37 pm
পটুয়াখালীর বাউফলে মহিলা মেম্বরের শ্লীলতাহাণী ও সাংবাদিক নির্যাতন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক মহিলা মেম্বারের শ্লীলতাহাণী ও এক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ১৭ জুন সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলার কনকদিয়া ইউপির ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কনকদিয়া ইউপি’র চুনারপুল গ্রামের ফিরোজ হাওলাদার গংদের সাথে একই বাড়ির হারুন হাওলাদার গংদের ৯ একর জমির ভাগ-বন্টন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও বিষয়টি স্থানীয় সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষ কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহিন হাওলাদারের দ্বারস্থ হন। কিছুদিন পূর্বে চেয়ারম্যান শাহিন তার ইউপি অফিসে সালিশ বৈঠকে ডেকে একপক্ষের জাহাঙ্গীর হাওলাদারকে মারধর করে আহত করলে সালিশ বৈঠক পন্ড হয়ে যায়। এরপর সোমবার বেলা ১১টার সময় কনকিয়া বাজারস্থ কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার পুনরায় সালিশ বৈঠকে বসান। এক পর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে তার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে বিরোধীয় সম্পত্তির ওয়ারিশ কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা ও বাউফল উপজেলা পরিষদের সদস্য উম্মে কুলসুম এবং তার স্বামী জাহাঙ্গীর খানকে বেদম মারধর করে আহত করে। পড়নের কাপড় টানা-হেঁচড়া করে তার মহিলা সদস্যা উম্মে কুলসুমের শ্লীলতাহানি ঘটায়। ওই সময় দৈনিক বরিশালের সময় পত্রিকার বাউফল প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম ঘটনার ছবি তুলতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সংবাদকর্মী এজাজকে বেদম মারধর করে এবং তার ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুর করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে বাউফল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংবাদকর্মী ও আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তি ইউপি সদস্যা উম্মে কুলসুম জানান, চেয়ারম্যান শাহিন খান সালিশের নামে তাদের আওয়ামীলীগ অফিসে ডেকে এনে চেয়ারম্যান নিজে ও তার লোকজন নিয়ে তাদের মারধর করে এবং তার শ্লীলতাহাণী ঘটায়। এসময় নির্যাতনকারীরা তার গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। উক্ত সালিশ বৈঠকের একজন সালিশ আওমীলীগ নেতা এবং বাউফল সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তিনিসহ অন্যান্য সালিশরা উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের দাপটে তাদের নীরব ভূমিকা পালন করে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার জানান, এখানে সালিশি চলে সাংবাদিক আসবে কেন? ও নিজে উচকানী দিছে, ও হবে এ ঘটনায় সৃষ্ট মামলার ১নম্বর আসামী! এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আহতরা অভিযোগ দিলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।