প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » ধর্ষণের পর হত্যা : ‘মামাতো ভাইয়ের হাতেই খুন হন স্মৃতি’
Sunday April 30, 2023 , 2:38 pm
বাড়িতে আসা-যাওয়ার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে
ধর্ষণের পর হত্যা : ‘মামাতো ভাইয়ের হাতেই খুন হন স্মৃতি’
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঝালকাঠির নলছিটিতে স্মৃতি আক্তার (৩৫) নামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপ্পি সরদার তুষারকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (এপ্রিল ৩০) সকালে পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে নলছিটি চায়না মাঠ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে ঝালকাঠি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। হত্যার মূল হোতা বাপ্পি সরদার তুষার নিহত স্মৃতির আপন মামাতো ভাই। বাপ্পি নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের ফেরদৌস সরদারের ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। পুলিশ সুপার মো: আফরুজুল হক টুটুল জানান, নিহত স্মৃতি আক্তার ও অভিযুক্ত বাপ্পি সরদার তুষার মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। বাড়িতে আসা-যাওয়ার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাপ্পি স্মৃতির চেয়ে ১১ বছরের ছোট। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে বাপ্পি ফুসলিয়ে একাধিকবার স্মৃতিকে ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় বাপ্পিকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল স্মৃতি। বিয়েতে রাজি ছিল না বাপ্পি। গত ২৫ এপ্রিল রাতে ঘরের দরজা খুলে স্মৃতিকে পাশের একটি ফসলের মাঠে নিয়ে বাপ্পি তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তার লাশ ফসলের মাঠে ফেলে পালিয়ে যায় বাপ্পি সরদার। পরের দিন দুপুরে ফসলের মাঠ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহতের মামাতো ভাই বাপ্পি সরদারকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে একাই ধর্ষণ শেষে স্মৃতিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। নিহত স্মৃতি আক্তার পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের মেয়ে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শংকর দাস ও নলছিটি থানার ওসি মুহাম্মদ আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পি সরদার তুষার পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। সে বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করত। মাঝেমধ্যে ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে মোটরসাইকেলও চালাত। স্মৃতি ও তার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মামাতো ভাইয়ের হাতেই খুন হয় স্মৃতি। ফসলের মাঠ থেকে তার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার মূল হোতাকে। যেহেতু এই মামলায় একমাত্র হত্যাকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সুতরাং নিরপরাধ কাউকে এ মামলায় আসামি করা হবে না।’