|
সন্দেহজনক নারায়ণগঞ্জের আরও ৫ জন ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে
দেশে প্রথম কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জের দম্পতির শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে প্রথম কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জের দম্পতির শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে এবং তাদেরকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে করোনা সন্দেহজনক নারায়ণগঞ্জের আরও পাঁচজন ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ পেলে তারা ফিরে যাবেন।সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: ইমতিয়াজ আহম্মেদ। তিনি বলেন, যে পাঁচজন কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। যাতে কোনও ভাবে আতঙ্ক না ছড়ায় সেজন্য এই গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তবে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দাদের মধ্যে ঢাকায় কতজন কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সেটি আমার জানা নেই। শুধু স্থানীয় পর্যায়ের হিসেবটা আমার কাছে রয়েছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর আগে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তানুযায়ী সোমবার নারায়ণগঞ্জে জেলা মাল্টিসেক্টরাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিনকে সভাপতি এবং জেলা সিভিল সার্জন ডা: ইমতিয়াজ আহম্মেদকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন নিজেই।তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত কিংবা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের শানাক্ত করতে শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় নির্মিত জুডিসিয়াল ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার দু’টি ফ্লোর নিয়ে পঞ্চাশ শয্যাবিশিষ্ট কোয়ারেন্টাইন পর্যবেক্ষণকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এখান থেকে সন্দেভাজন রোগীদের রেখে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে। জেলা সিভিল সার্জন বলেন, কারও মধ্যে কোভিড-১৯’র লক্ষণ দেখা গেলে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে রাখা হবে। আর সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া গেলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এজন্য একটি স্বার্বক্ষণিখ অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন খবর পেলেই অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করা হবে। জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যবস্থার পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেয়ার কথাও জানান তিনি। করোনা নিয়ে আতঙ্কতি না হয়ে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে সিভিল সার্জন বলেন, হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যত্রতত্র উন্মুক্তভাবে হাঁচি, কাঁশি দেওয়া যাবে না। হাঁচি কাঁশি দেওয়ার সময় টিস্যু, রুমাল, কাপড় চেপে ধরে দিতে হবে। পাশাপাশি হাঁচি কাঁশি দেওয়ার সময় ব্যবহৃত টিস্যু, রুমাল নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। প্রতিদিন যতো বেশি সম্ভব সাবান দিয়ে হাত, মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এর আগে রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশে তিনজনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দু’জন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও একজন নারী বলে জানানো হয়। তবে এই তিনজনের মধ্যে এক নারী-পুরষ দম্পতি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা বলে ওইদিন সন্ধায় জেলা সিভিল সার্জন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
Post Views:
১৩৩
|
|