Current Bangladesh Time
সোমবার এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৪:১৯ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাতের 
Wednesday May 12, 2021 , 10:06 pm
Print this E-mail this

নুসরাতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হতে পারে

দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাতের


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়ার দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৭১ ধারা অনুযায়ী তার এই শাস্তি হতে পারে। ওই আইনের ৯৭ (ক) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত মুনিয়ার সাথে বিভিন্ন ব্যক্তির কথোপকথন, মুনিয়ার ভিডিও সহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত মেসেজ ইত্যাদি প্রকাশ করা হচ্ছে এবং এইগুলো নুসরাত প্রকাশ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রকাশের অভিযোগ যদি সত্যি হয় এবং এ ব্যাপারে যদি সুষ্ঠু তদন্ত হয় তাহলে নুসরাত তানিয়া অভিযুক্ত হবেন এবং দণ্ডিত হবেন। সাম্প্রতিক সময়ে ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর নিক্সন চৌধুরী হাইকোর্টে জামিন পান এই আইনের ভিত্তিতে। তার আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসক এবং নিক্সন চৌধুরীর মধ্যে যে কথাবার্তা হয়েছে তাদের গোপনীয়তার বিষয়টির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। আর এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়াও হাইকোর্টের একটি রায় পর্যবেক্ষণ আছে যে দুজন ব্যক্তির কথোপকথন একটি গোপনীয় বিষয় এবং একটি সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত এই গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। আর এই বাস্তবতায় সাম্প্রতিক সময়ে মুনিয়ার মৃত্যুর পর যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তাতে নুসরাত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এ অভিযুক্ত হন। নুসরাতের মামলার মূল ভিত্তি হচ্ছে, মুনিয়ার সঙ্গে বসুন্ধরার এমডির কথোপকথনের অডিও টেপ। এই দুইজনের কথোপকথনের অডিও টেপ কিভাবে নুসরাতের কাছে এলো এবং কিভাবে এটি বাজারে গেল। এটি নিশ্চয়ই মুনিয়া দেয়নি। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে ৯৭ (ক) তে বলা হয়েছে যে, এই আইন বা অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে যে কোন টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহারকারীর প্রেরিত বার্তা ও কথোপকথন প্রতিহত, রেকর্ড ধারণ বা তত্সম্পর্কিত তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য সরকার সময় সময় নির্ধারিত সময়ের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার কোন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং পরিচালনাকারী উক্ত নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবে৷ আর ওই আইন এর ৭১ এ বলা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি যদি অপর দুই জন ব্যক্তির টেলিফোন আলাপে ইচ্ছাকৃতভাবে আড়িপাতেন, তাহা হইলে প্রথমোক্ত ব্যক্তির, এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫(পাচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। আর এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুনিয়ার ফোন থেকে যে সমস্ত ম্যাসেজ বা ভিডিও কন্টেন্ট বের হচ্ছে সেগুলোও একই ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এগুলোর সবই নুসরাত বসুন্ধরার এমডিকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য বা ব্ল্যাকমেইল করার জন্য করছেন বলে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। আর এটির ফলে, নুসরাতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হতে পারে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে।




Archives
Image
নকল জুুুুস তৈরির কারখানার সন্ধান, মালিকের ৩ মাসের কারাদণ্ড
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: চান মিয়ার শেষ বিদায়
Image
বরিশালে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার
Image
২৪ বছর পর কারামুক্ত ওলিউলকে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
আবারও ক্যান্সারে মৃত্যু, বড়সড় জরিমানার মুখে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’