প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর বরিশালে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু!
Tuesday July 19, 2022 , 1:41 pm
মারা যাওয়া ২৫ বছর বয়সী পুরুষ রোগীটি ভোলা জেলার সদর উপজেলার
দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর বরিশালে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (জুলাই ১৯) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ২৫ বছর বয়সী এই পুরুষ রোগীটি ভোলা জেলার সদর উপজেলার। এর আগে গত ৫ মার্চ গৌরনদী উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী একজন (পুরুষ) করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা: এসএম মনিরুজ্জামান জানান, ভোলার রোগীটি গত ১৪ জুলাই আরটিপিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া রিপোর্টে করোনা নিশ্চিত হয়ে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৬ জুলাই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। করোনার কারণে নিউমোনিয়া হয়ে তার হৃদপিন্ডের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তাঁর মৃত্যু হয়। দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর এই ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে সরাসরি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪০ জন। এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমেছে। মঙ্গলবার পিসিআর ল্যাবে ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১২.০৬ ভাগ। এছাড়া সোমবার ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৮.৮৬ ভাগ। এর আগে গত রবিবার শনাক্তের হার ছিলো ৫.৫৫ ভাগ, শনিবার ১১.৪৭ ভাগ, শুক্রবার ২৮.৮১ ভাগ এবং গত বৃহস্পতিবার ২৫.৫৩ ভাগ করোনা শনাক্ত হয়।মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলো ৪ জন রোগী। বিগত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ জন রোগী। একই সময়ে নতুন করে মাত্র ১ জন রোগী করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শেবাচিমে করোনা ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ৭ হাজার ৭শ’ ৫ জন রোগী ভর্তি হয়। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যায় ৬ হাজার ২শ’ ২৫ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ১ হাজার ৪শ ৭৭ জন। যার মধ্যে ৪শ ৪০ জনের করোনা পজেটিভ ছিলো।