সাঈকা সাহাদাতের বিরুদ্ধে ১৫ টন চাল কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে
চাল চুরির ঘটনায় ইউএনও সাঈকাকে প্রত্যাহার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা সাহাদাতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে আগামী ৩ মের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তার বদলে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা সিদ্দিকা আকতারকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ সাঈকা সাহাদাতের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ১৫ টন চাল কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। আলোচিত এ ঘটনায় টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাঈকা সাহাদাত বলেন, আমি এখানে যোগ দেওয়ার পর শত শত টন চাল এসেছে। সেগুলো থেকে কখনো একটাও আত্মসাতের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ওঠেনি। মাস্টার রুলস হাতে না আসায় ১৫ টন চালের সঙ্গে আমাকে জড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। লিগ্যালি অ্যাকশন নিয়েছি্। আমার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এ জন্য তিনি আর তার অনুসারিরা ও একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে ফাঁসানোর পায়তারা শুরু করে। আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েই তারা ঠিক করে এই টিএনওকে সরাতে হবে। এজন্য তারা হাতিয়ার হিসেবে লোকাল সাংবাদিকদের ব্যবহার করেন। টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৫ টন চাল আত্মসাতের ওই মামলাকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ক্ষীপ্ত হয় এবাং তাকে যেভাবে হোক পেকুয়া থেকে সরনোর পরিকল্পনা করে বলে দাবি করেন সাঈকা সাহাদাত। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোনো অভিযোগ সত্য নয়। কিসের ভিত্তিতে উনাদের এই অভিযোগ, কোনো ভিত্তি নেই এসবের। এতে আমার মান-সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমার মানহানি করা হচ্ছে। অথচ আমি দূর্নীতি করেছি, এমন কোনো এভিড্যান্ড কেউ দেখাতে পারবে না। আমি চাই সবাই প্রকৃত সত্যটা জানুক।