Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার জুলাই ১, ২০২৫ ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক নয়, এটা মানুষের তৈরি – নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী হনজোর 
Wednesday April 29, 2020 , 5:34 pm
Print this E-mail this

নোভেল করোনাভাইরাস যদি প্রকৃতি থেকে আসত তা হলে, সারা বিশ্ব একই সময়ে একইভাবে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতো না

করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক নয়, এটা মানুষের তৈরি – নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী হনজোর


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : জাপানের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক তাসুকু হনজো বলেছেন, নোভেল করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক কিছু নয়, এটা মানুষের হাতে তৈরি। তিনি বলেন, তার এ বক্তব্য কোনো না কোনো দিন সত্য প্রমাণিত হবে। যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে তার নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়া যাবে, এতে তার কোনো আপত্তি নেই। মিডিয়াতে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন। প্রফেসর হনজো বলেন, নোভেল করোনাভাইরাস যদি প্রকৃতি থেকে আসত তা হলে, সারা বিশ্ব একই সময়ে একইভাবে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতো না। কারণ, প্রকৃতির কথা বিবেচনা করলে একই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তাপমাত্রা একই রকম নয়। ভাইরাসটি যদি প্রাকৃতিকই হতো তা হলে চীনের উহানের তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অঞ্চলগুলোতেই এই ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করত। অথচ এই ভাইরাস সুইজারল্যান্ডের মতো দেশকে যেভাবে আক্রমণ করেছে, ঠিক একইভাবে মরু অঞ্চলের দেশগুলোতেও আক্রমণ করেছে। এটা যদি প্রাকৃতিকই হতো, তা হলে শুধু শীতপ্রধান অঞ্চলেই ছড়াত এবং উষ্ণ অঞ্চলগুলোতে যেয়ে এই ভাইরাসটি মরে যেত। প্রফেসর হনজো বলেন, ‘আমি বিভিন্ন প্রাণী এবং ভাইরাস নিয়ে ৪০ বছর ধরে কাজ করেছি। কখনো ভাইরাসের এমন প্রকৃতি লক্ষ্য করিনি। এটা প্রাকৃতিক নয়, এটা মানুষের তৈরি এবং সম্পূর্ণরূপে আর্টিফিসিয়াল।’ হনজো আরও বলেন, ‘আমি চার বছর চীনের উহানের ল্যাবরেটরিতেই কাজ করেছি এবং ল্যাবরেটরির প্রতিটি স্টাফের সঙ্গেই আমার পরিচয় আছে। করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর আমি তাদের সঙ্গে ফোনে বার বার আলাপ-আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু গত তিন মাস ধরে ল্যাবরেটরির সবগুলো টেলিফোন লাইন বন্ধ পাচ্ছি। এতে আমি বুঝতে পারছি, ওই ল্যাবরেটরির কোনো টেকনিশিয়ানই আর জীবিত নেই।’ প্রফেসর হনজো বলেন, ‘এতকাল পর্যন্ত গবেষণা করে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা থেকে এটা আমি শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি, করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক কোনো বিষয় নয়। এটা বাদুড় থেকেও আসেনি। চীন এই ভাইরাসটি তৈরি করেছে।’ প্রফেসর হনজো পরিশেষে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি যে কথাটি আজ বলে দিলাম সেটা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, এমনকি আমার মৃত্যুর পরও যদি এ কথাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তা হলে সরকার যেন আমার নোবেল পুরস্কারটি প্রত্যাহার করে নেয়। আমি সেই অধিকার দিয়ে দিলাম। আমি আবারও বলছি, চীন মিথ্যা বলছে এবং এ কথা সত্যি যে একদিন প্রত্যেকের কাছে এটা প্রমাণিত হয়ে যাবে।’ ইতোপূর্বে ফ্রান্সের নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী লুক মন্তানিয়ের এমনটি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই নোভেল করোনাভাইরাসটি ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, ওই ল্যাবরেটরিতে এইডস ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করতে গিয়ে এটি ভুলবশত বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।’ গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুক মন্টানিয়ের বলেন, ‘উহানের ল্যাবরেটরিতে চলতি শতকের গোড়ার দিকে এইচ আইভির প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছিল। সেখানে যারা কাজ করছিলেন, তারা এই ভাইরাসটির বিষয়ে বেশ অভিজ্ঞ ছিলেন। করোনাভাইরাসের কোষের মধ্যে এইচআইভির কিছু অংশের উপস্থিতিও পান তারা।’ উল্লেখ্য, এইডস ভাইরাস চিহ্নিত করার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৮ সালে নোবেল পুরস্কার পান মন্তানিয়ের।




Archives
Image
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
Image
আবু সাঈদ হত্যা, ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
Image
এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরাকে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করেন এক নারী
Image
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, হেলপারসহ নিহত ২
Image
অতিরিক্ত মদ্যপানে কুয়াকাটায় পর্যটকের মৃত্যু