|
ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কিনা, সেটি নিয়েও চলছে আলোচনা
ঈদে বিধি-নিষেধ থাকবে না, বাড়বে ছুটি!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সারাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল রূপ দেখছে। গত কয়েকদিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। এ অবস্থায় কঠোর লকডাউন বা সরকারি ভাষায় বিধি-নিষেধ আরো সাতদিন বাড়ানো হলো। তবে এই সাতদিন শেষে বিধি-নিষেধ আরো বাড়ানো হবে কিনা-তা নিয়ে জানার আগ্রহ সবার। আবার ঈদের তিনদিনের ছুটি বাড়বে কিনা, লকডাউন না থাকলে ঈদের ছুটি বাড়বে কিনা, ছুটি থাকলে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কিনা- ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীর পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা উঠেছে। সোমবার (৫ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করে চলমান লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এদিকে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ বা ২১ জুলাই ঈদ-উল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদের তারিখ নির্ধারণে আগামী ১১ জুলাই বসবে চাঁদ দেখা কমিটি। তবে ঈদ ২১ জুলাই ধরে সরকারি ছুটি ২০-২২ জুলাই (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) তিন দিন ধরা আছে। এই হিসেবে সরকারি ছুটি থাকবে পাঁচদিন। আর সেই ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কিনা, সেটি নিয়েও চলছে আলোচনা। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনে অফিস-আদালত, গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার। মাঠে কাজ করছে মোবাইল কোর্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে গেলেই জেল বা জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের তথ্যমতে, এসব কঠোর পদক্ষেপ দিয়ে ১৪ দিনে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে এনে ঈদের সময়টায় সবকিছু শিথিল করার পরিকল্পনা সরকারের। যাতে ব্যবসায়ী, গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা অন্য পেশার মানুষ আনন্দে উৎসব করতে পারেন। এদিকে ঈদের সময়ে লকডাউন থাকছে কিনা-প্রশ্নে জনপ্রশাসন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সবকিছুই নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর। মানুষকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে এই বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে মানুষ যদি বিধি-নিষেধ মেনে চলে তাহলে সামনে সুফল পাওয়া যাবে। এজন্য আমাদের সবাইকে সরকারি বিধি-নিষেধ মানতে হবে। আগামী ১৪ জুলাইয়ের পর নতুন করে আর বিধি-নিষেধ দেওয়া হবে কিনা-প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবকিছুই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ মেনে কিছু শর্ত শিথিল করে যেমন-স্বাস্থ্যবিধি মেনে বা প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে অফিস-আদালত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন চালু, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই অবস্থা এক সপ্তাহ বা দশদিন অব্যাহত রেখে হয়তো আবারও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হতে পারে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া গত ঈদ-উল ফিতরের সময় ৩০ রোজা ধরে সরকারি ছুটি ছিল তিনদিন। যদিও অন্যবার ২৯ রোজা ধরেই ওই ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে চারদিন ছুটি পড়ে। আর ঈদ-উল ফিতরে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার।
Post Views:
২৩৯
|
|