|
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সঙ্গীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রাখেন এই প্লেব্যাক সম্রাট খ্যাত এন্ড্রু কিশোর
আজ মঙ্গলবার (জুলাই ৬), কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
মুক্তখবর বিনোদন ডেস্ক : আজ মঙ্গলবার (জুলাই ৬), কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের আজকের দিনে সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সঙ্গীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রাখেন এই প্লেব্যাক সম্রাট খ্যাত এন্ড্রু কিশোর। মঙ্গলবার তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই। তবে রাজশাহীতে পারিবারিকভাবে প্রার্থনাসহ বিভিন্নভাবে স্মরণ করা হবে এই প্লেব্যাক সম্রাটকে। সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এন্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ওগো বিদেশিনী’সহ অসংখ্য গান। ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বরে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। রাজশাহীতে জন্ম নেয়া কিশোর সেখানেই বেড়ে ওঠেন। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বন্ধুকে নিয়ে হানিফ সংকেতের স্মৃতিচারণ
বাংলাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের আজকের দিনে মরণব্যাধী কর্কটরোগের কাছে হার মেনে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই গায়ক। তাঁর ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও এন্ড্রু কিশোরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেত। চার দশকের বন্ধুত্ব তাদের, একসাথে অনেক স্মৃতি। ঘটনাবহুল আর সমৃদ্ধ দুই বন্ধুর ক্যারিয়ার। কিন্তু আজ যেন দুজনের মাঝে এক আলোক বর্ষের সমান দূরত্ব। আজ মৃত্যু সীমার ওপারে থাকা বন্ধুকে ভেবে আরও কত স্মৃতি স্মরণে আসছে তা সঠিকভাবে হানিফ সংকেতই বলতে পারবেন। বন্ধুর সমাধি থেকে ফিরে, কিশোরের ১ম প্রয়াণ দিবসে হানিফ সংকেত তার ফেইসবুক পেইজ লিখেছেন, দেখতে দেখতে একটি বছর হয়ে গেলো কিশোর নেই। বিশ্বাস করতে মন চায় না, অথচ এটাই সত্যি। এন্ড্রু কিশোর-বাংলা গানের ঐশ্বর্য। যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতি ছিলো বেশি। যার কাছে গানই ছিলো জীবন-মরণ, গানই ছিলো প্রাণ। এই গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি। গানের জন্যই মানুষ তাঁকে ভালোবাসতো। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত বছরের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর। কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারতো, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারতো। সবসময় নিজের সুবিধার চাইতে অন্যের সুবিধার দিকেই দৃষ্টি ছিলো তাঁর বেশি। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। এক সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, বহুবার বিদেশে গেছি, এক সঙ্গে থেকেছি। কিশোর ছিলো ইত্যাদি’র প্রায় নিয়মিত সংগীত শিল্পী। কিশোর নেই মনে হলেই ভেতরটা হাহাকার করে উঠে। এন্ড্রু কিশোর ছিলো একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। কিশোর তাঁর গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধু যেখানে থাকো ভালো থেকো। শান্তিতে থেকো।
বরিশাল মুক্তখবর পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী।
Post Views:
১৭৫
|
|