Current Bangladesh Time
সোমবার জুন ৩০, ২০২৫ ১:২৭ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » আগস্টেই করোনার ভ্যাকসিন আনছে রাশিয়া 
Tuesday July 14, 2020 , 9:30 pm
Print this E-mail this

ইতোমধ্যে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সব ক’টি ধাপ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা

আগস্টেই করোনার ভ্যাকসিন আনছে রাশিয়া


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ১২ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে বাজারে করোনার ভ্যাকসিন আনার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ইতোমধ্যে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সব ক’টি ধাপ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। রুশ গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, বিশ্বের যেসব দেশ ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। রাশিয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ ও সফল করার দাবি করতে পারেননি। গবেষকরা বলছেন, যে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হবে। সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল প্যারাসাইটোলজির ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ বিভাগের পরিচালক অ্যালেকজান্ডার রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেন, এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এটি নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বাজারে অন্যান্য যেসব ভ্যাকসিন রয়েছে সেসবের মতোই সব ধরনের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে এই ভ্যাকসিন। আগামী আগস্টের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রুশ বিজ্ঞানীরা। অ্যালেকজান্ডার বলেন, ১২ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যেই ভ্যাকসিনটি সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা যাবে। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ওষুধ সংস্থাগুলো রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিনটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবে। প্রথম দফায় ১৮ এবং দ্বিতীয় দফায় ২৩ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এ ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ওই স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিন আইসোলেশনে রাখা হয়। আগামী ছয় মাস তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ গবেষকরা। সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক এলেনা স্মোলিরাচুক বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের সামান্য জ্বর এবং মাথাব্যথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। কিন্তু একদিনের মধ্যেই তা কমে যায়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিনটি এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়েই রয়েছে। যেকোনও ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তিনটি ধাপ সম্পূর্ণ করতে হয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সব ধাপে সফল না হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনও ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমতি দেয় না। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের এক কোটি ৩২ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি। করোনার কোনও ভ্যাকসিন কিংবা প্রতিষেধক এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চূড়ান্ত অনুমোদন না পেলেও দুই শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প চলমান। এছাড়া ইতোমধ্যে অন্তত ২০টি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।




Archives
Image
অতিরিক্ত মদ্যপানে কুয়াকাটায় পর্যটকের মৃত্যু
Image
বরিশালে মহাসড়কের পাশে পলিথিনে মোড়ানো এসিডদগ্ধ নারী উদ্ধার
Image
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই, নইলে গণভোট : চরমোনাই পীর
Image
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন, মহানগর বিএনপি : জিয়াউদ্দিন সিকদার
Image
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের প্লট ক্রোক