|
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে খতিয়ে দেখে সত্যতা যাচাইের মাধ্যমে সুষ্ঠু সিদ্ধান্তের দাবী
বরিশালের উজিরপুরে ধান কাটায় বাঁধা দেয়ায় মা-মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃতঃ আঃরাজ্জাক খানের পুত্রদ্বয় কামাল খান ও হাকিম খান গংদের পৈতৃক সম্পতি নিয়ে তাহার চাচা মোঃ নুরুল ইসলাম খানের সহিত বিগত দিন ধরে একটি বিরোধ চলছিল। আঃ রাজ্জাক খানের পুত্রদ্বয় ধান রোপন করিতে গেলে তাহাদেরকে ধান রোপন করিতে বাঁধা প্রদান করেন বিবাদীদ্বয়। তখন আইনের আশ্রয় নিলে উজিরপুর মডেল থানার এস আই রাকিবুল ইসলাম তদন্তের মাধ্যমে মৃতঃ আঃ রাজ্জাকের পুত্রদ্বয়কে ধান রোপন করিবার কথা বলেন এবং বিবাদী নুরুল ইসলামকে বাদীদেরকে তাদের কাজে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। তারপরও তাহারা বাঁধা দিতে চাইলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পরে ফিরে যেতে বাধ্য হয় নুরুল ইসলাম গং। মোঃ নুরুল ইসলাম ঐ ঘটনাকে মনের ভেতর পুষে রেখে তাহার কনিষ্ঠ জামাতা গৌরনদী উপজেলা সমাজসেবা কর্মী মোঃ মনির হোসেনের দাপট খাটিয়ে ধান কেটে নিয়ে যেতে না পারে এই পরিকল্পনা করিয়া মৃতঃ আঃ রাজ্জাক খানের পুত্রদ্বয়, কন্যাদ্বয় এবং কন্যাদ্বয়ের স্বামী সন্তানদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছেন বলে জনিয়েছেন ভুক্তভোগীরা এই মামলার আগাম জামিনের জন্য বিজ্ঞ আদালতের নিকট শরণাপন্ন হইলে বিজ্ঞ আদালত তাহাদেরকে জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন আনতে বরিশালে যাওয়ার সুযোগে বিবাদী নুরুল ইসলাম তাহার কনিষ্ঠ জামাতা গৌরনদী উপজেলা সমাজসেবা কর্মী মোঃ মনির হোসেনের সহায়তায় ১৯ ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার সময় আনুমানিক বেলা ১১:২০ ঘটিকায় নিজ অফিসিয়াল কর্মকে ফাঁকি দিয়ে দলবদ্ধভাবে ধান কাটিতে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়িতে থাকা মৃতঃ আঃ রাজ্জাক খানের সহধর্মীনি মোসাঃ আম্বিয়া বেগম এবং তাহার কনিষ্ঠা কন্যা সালমা বেগমকে নিয়ে মাঠে এসে ধান কাটতে নিষেধ করিলে তাহাদেরকে মোঃ মনির হোসেন হাওলাদার (৪৮), মোঃ মালেক সরদার (৫০), মোসা: রাজিয়া সুলতানা (৩৫), মোঃ সাইদুর রহমান, নুরুল ইসলাম খানের মাদক ব্যাবসাই পুত্র রাকিব খান ও কাজল বেগম মিলে একতাবদ্ধভাবে দেশিয় অস্ত্র লাঠি, কাচি, ইট দিয়ে মা ও মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এমতাবস্থায়, পথচারীরা তাদেরকে উদ্ধার করে তাহার বাড়িতে খবর পৌঁছালে তাহারা এসে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে ১ নং আসামি মনির হোসেন হাওলাদার (৪৮), পিতা মৃত: জাবেদ আলী হাওলাদার সাং-সিলনদিয়া উপজেলা: বাবুগঞ্জ। ২ নং আসামি মো: মালেক সরদার (৫০), পিতা : মৃত আতাহার সরদার সাং-বামরাইল। ৩ নং আসামি রাজিয়া সুলতানা (৩৫), স্বামী : মো: সাইদুল রহমান সাং-মসাং। ৪ নং আসামি মো: সাইদুর রহমান (৫০), পিতা মৃত মোখতার আলী হাওলাদার সাং-মসাং। ৫ নং আসামি মো: রাকিব খান (৩০), পিতা নুরুল ইসলাম খান সাং-কালিহাতা। ৬ নং আসামি কাজল বেগম (৪৫), স্বামী মো: মালেক সরদার সাং-বামরাইল – এদের বিরুদ্ধে মৃত আ: রাজ্জাক খানের কনিষ্ঠা কন্যা বেগমের স্বামী মেহেদী হাসান উজিরপুর মডেল থানায় স্ব-শরিরে থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং তদন্তের জন্য অনুরোধ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার উজিরপুর মডেল থানার এসআই আবু ইউসুফ সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে অফিসার ইন চার্জের নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করেন। অফসার ইন চার্জ মো: আব্দুস সালাম বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ ধারায় একটি মামলা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুস সালাম বলেন, দোষি যেই হোক না কেনো তাহাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না এবং সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিগত দিনগুলোতেও গৌরনদী উপজেলা সমাজসেবা কর্মী মোঃ মনির হোসেন কর্মকান্ডে জড়িত, অফিস চলাকালিন সময়ে অফিসের কাজ বন্ধ রেখে এরকম জঘন্য কাজে জড়ানোর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে খতিয়ে দেখে সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু সিদ্ধান্তের দাবী করেন।
Post Views: ০
|
|