পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠেছে নতুন চরে ‘বিজয়চর’
পাখির কলকাকলি আর কাঁকড়ার ছোটাছুটি যে চরে
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠেছে নতুন চরে ‘বিজয়চর’ লালকাঁকড়ার অবাধ ছোটাছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলি পর্যটকদের মুগ্ধ করে তুলেছে। একদিকে বঙ্গোপসাগরে অথৈ জলরাশি। তারই মাঝখানে নয়নাভিরাম এক বিশাল চর। চারদিকেই সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ছে অনবরত। যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে। এ চরটি বিজয়ের মাসে নজরে আসে কুয়াকাটার একদল প্রকৃতিপ্রেমীর। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সমুদ্রসৈকত গঙ্গামতি থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সাগরের মধ্যে এ চরটি জেগে উঠেছে। আনুমানিক চরটির দৈর্ঘ্য তিন কিলোমিটার ও প্রস্থ দেড় কিলোমিটার। স্থানীয় ও পর্যটকদের সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটার সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টা সাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছানো যায় এ চরে। বর্ষা মওসুমের ছয় মাস চরটি পানিতে ডুবে থাকলেও শীত মওসুমে জেগে ওঠে ধুধু বালুচর। এ সময় তিন মাসের জন্য অস্থায়ী বাসা তৈরি করে মৎস্যজীবী ও জেলেরা শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ করে। মানুষের খুব একটা বিচরণ নেই বলে শীতে এখানে সমাগম ঘটে লাখ লাখ অতিথি পাখির। এদিকে সম্প্রতি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগরের মাঝে জেগে ওঠা নতুন চর সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এ সময় বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চরের মালিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। এরপর জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একটি ম্যানগ্রোভ জাতীয় গোল গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে ওই চরে বনায়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান বলেন, এই রকমের নতুন ভূমি আমাদের দেশে বড় সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তার নির্দেশে চরে ম্যানগ্রোভ জাতীয় বৃক্ষরোপণ করা হয়। এছাড়া চরটিকে পর্যটক বান্ধব করতে আরো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।