স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চিঠি দেয়ার শঙ্কায় রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালি-নেছারাবাদ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ১৭ ডিসেম্বর রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এই আবেদন দাখিল হতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। পিরোজপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কার্যালয়, বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন দপ্তর ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে দেয়া হয়েছে এই চিঠি। চিঠিতে তিনি বলেন, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা গত ৩ ডিসেম্বর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মহারাজের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন। ফলে তার প্রার্থিতা বহাল রয়েছে। তবে প্রতিপক্ষ গ্রুপ মহারাজের স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন দাখিল করতে পারে। এই চক্রান্ত থেকে মুক্তি পেতে চিঠিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এছাড়া সশরীরে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত তার পক্ষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন বা অন্য কোনো আবেদন গ্রহণ না করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানিয়েছেন মহারাজ। প্রসঙ্গত, পিরোজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল ঘোষ। তবে মহিউদ্দিন মহারাজ ছাড়াও এ আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন। তিনি হচ্ছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তাই আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনটি মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টিকে (জেপি) ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দলের ঘোষণা অনুযায়ী যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। পিরোজপুর-২ আসনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের। মহিউদ্দিন মহারাজের সমর্থকদের অভিযোগ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিজয় নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই বিভিন্নভাবে মহিউদ্দিন মহারাজকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চেষ্টা করেছেন। এসব চেষ্টা ব্যর্থ হলে একটি চক্র দিয়ে মহারাজের স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার অপচেষ্টা করতে পারে বলে মহারাজ এই চিঠি দিতে বাধ্য হয়েছেন। কোনোভাবেই তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এদিকে লিখিত আবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নি কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, কোনো প্রার্থীর জাল স্বাক্ষর দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। যা হবে আরপিও আইন অনুসারেই হবে।