Current Bangladesh Time
শুক্রবার জুন ২৭, ২০২৫ ৫:০৬ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » পিরোজপুরে ৩ চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন 
Sunday September 3, 2023 , 8:31 pm
Print this E-mail this

পুলিশ তার দক্ষতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধীদের শনাক্ত করেছে

পিরোজপুরে ৩ চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুরে চাঞ্চল্যকর ৩টি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০ টার দিকে পিরোজপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৫ দিনে ৩টি হত্যাকাণ্ড ঘটার পর পুলিশ কৌশলপূর্ণভাবে ও ঝুঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আসামিদের আটক করে। দ্রুত তৎপরতার কারণে উল্লেখিত মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের আটক করা সম্ভব হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন, নাজিরপুর থানার ওসি এবং ভান্ডারিয়া থানার ওসিসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় পিরোজপুর শহরের শিকারপুরে সত্যেন্দ্রনাথ ঘরামীর স্ত্রী হাসি রানী ঘরামীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করে তার গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সত্যেন্দ্রনাথ সদর থানায় মামলা করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন তথ্যমতে শহরের ঝাটকাঠী গ্রামের মানিক শেখের পুত্র মো. রুবেল শেখকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। ঘাতক রুবেল শেখ নিহত হাসি রানীর বাসার কাছে একটি বাসায় কেয়ার টেকারের কাজ করতেন বলে জানান পুলিশ সুপার। অপরদিকে গত ১৮ আগস্ট নাজিরপুর উপজেলার বৈবুনিয়া গ্রামের  সৌদি প্রবাসী মো. ওমর ফারুকের স্ত্রী কোমেলা বেগমকে রাত ৪টার দিকে ঘাতক বালিশ চাঁপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ব্যাপরে থানায় মামলা হলে পুলিশ স্থানীয় ও ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাপক তল্লাশি মাধ্যমে গত ২৯ আগস্ট মুল আসামী নিহতের প্রতিবেশি শাহজাহান সরদারের ছেলে মো: হাসান সরদারকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হাসান স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয় প্রবাসীর স্ত্রীর টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করার জন্য তারা ঘরে প্রবেশ করে। ভিকটিম তাদের চিনে ফেলায় তারা বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে কোমেলা বেগমকে হত্যা করে। মূল আসামি গ্রেফতার হলেও তার অপর সহযোগী এখনো পলাতক রয়েছে। এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভান্ডারিয়া সদর উপজেলায় সাদিয়া আক্তার মুক্তা (১৮) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্বামী মুনিম জোমাদ্দার, মুনিমের মা ছবি বেগম এবং সহযোগী বন্ধু সিয়াম খান বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারয় বন্ধুদের সহযোগিতায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলো কোনো প্রকার তথ্য প্রমাণ না থাকায় অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পুলিশ তার দক্ষতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এই তিনটি হত্যার রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে জেলার এ পর্যন্ত ঘটা সব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে।




Archives
Image
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন, মহানগর বিএনপি : জিয়াউদ্দিন সিকদার
Image
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের প্লট ক্রোক
Image
ইভ্যালির রাসেলের ৩ মাসের কারাদণ্ড
Image
নিবন্ধন আবেদনে তিন প্রতীক এনসিপির, পেতে চায় ‘শাপলা’
Image
ইলেকট্রিক সিগারেটের চালান আটক বিমানবন্দরে